কেমন করে বেঁচে আছি একবার দেখে যা অনিমেষ— ঘরে চাল নেই, হাঁড়ি চড়ে না উনুনে আজ দুই দিন, শরীরে কঠিন ব্যামো, যন্ত্রণা সঙ্গী প্রায় নিত্যদিন, ঋণ করার জায়গাটুকু আর অবশিষ্ট নেই কোথাও; পুরোনো সেই বসতভিটাও ...
জলের কোনো রং নেই হে বসন্ত তুমি যদি রাঙালে বুকের গহিনে ঝরা পাতা ঝরা ফুল ভেঙে ভেঙে পড়া উপচে পড়া দুকূল হৃদয়ের অন্তরালে, কাঙালের হাত পাতলে।
গানের পাখিরা আজ গান করে না বৃষ্টিরা কেন জানি আর ঝরে না মেঘবালিকারা আজ দূরে উড়ে যায় একরাশ বেদনারা মনজুড়ে রয়। দিগন্ত ছোঁয় না তো আবেগ আমার চারদিকে ছেয়ে গেছে ব্যথার আঁধার রংচটা হয়ে পড়ে দিনগুলো সব ...
বছর ঘুরে বাংলাজুড়ে এল জ্যৈষ্ঠ মাস ফলে ফলে গাছগুলো আজ সাজালো দারুণ সাজ। দারুণ রূপে হাজির হলো ফলেরই মৌসুম ছেলে বুড়ো সবাই মিলে পড়লো খাবার ধুম।
মাছরাঙা মাছরাঙা নীলরঙা পাখি মাছ খেতে চাও যদি খুলে দেখ আঁখি। জলের ভেতরে মাছ খেলে দিয়ে ফাঁকি কদিন চলবে আর উপবাস থাকি?
বহ্নিমান মধ্যাহ্ন নেমে আসে ঘাটবাঁধা-দীঘিতে ধর্ষিতা দীঘির ইজ্জত উবে যায় ঐ ঊর্ধ্বলোকে সাহারা হাহাকার করে শাপলার উদম দেহে পোষা মাছ ধড়ফড় করে মরে সন্ত্রাসী আঁচে; বাহুবল-চোট নির্বল আর কতকাল সয়ে যাবে! ...
একদিন বড্ড বেশি অভিমানে চলে যাব দূরে ফিরব না আমি—কোনো অজুহাতে—ফিরব না আর! হয়তো সেদিন আষাঢ় বৃষ্টিতে ফুটন্ত কদম আর কেয়া ফুল ভেজা রাস্তা পথে পথ আটকাবে—তবু ফিরব না আর! বড্ড অভিমানে নিয়তি মেনে যাযাবর ...
বাঙালি জাতি বিশ্বসেরা করলে তুমি রবি, নামী দামি কবির মাঝে তুমি বিশ্বকবি। জাতীয় গীত রচলে তুমি আমার সোনার বাংলা, তোমায় ছাড়া একটি দিনও পাই না সুখের ভাষা।
আড়াল হতে হতে আড়াল হয়ে যায়, পূর্ণিমা থেকে ধীরে ধীরে অমাবস্যায়। অদৃশ্য আজ দৃশ্যমান হয়, মনের ভেতর দোল খায়। স্মৃতি হঠাৎ ধাক্কা দেয়, সংবিৎ ফিরে ভাবি সে তো চোখের আড়াল, মনের নয় কেন?
মেঘলা দিনে বিকেলবেলায় খেলতে গেলাম মাঠে, গিয়ে দেখি মাথার ওপর হাতি-ঘোড়া হাঁটে! আরও দেখি ইঁদুর-বিড়াল ছোট্ট-বড় মাছ, কত্ত গুলো ফল ধরেছে কী জানি কি গাছ!
বুকের খাঁচায় কতগুলো বুনো স্বপ্ন পাখি ডানা ঝাপটায় মুক্ত আকাশের দিকে চেয়ে নিয়তির বেড়াজালে মেনে নেয় যাপিত জীবন জেনে যায় পরিণতি, নাগরিক অবয়বে। চোখ অন্তঃপুরে ঘুম জমা হয় মৃত্যুর সিন্দুকে জেগে থাকি ...
বৈশাখ মাসের পঁচিশ তারিখ জন্ম ছেলেটির এই ছেলেটি বাংলা ভাষার কলম হাতে বীর। গল্প ছড়া গান কবিতায় ছেলেটি হয় পাকা লিখনি তাঁর খুব ধারালো ছিল জাদুমাখা।
আমি নিজের জন্য আসিনি, সে বিকেলের বলা সব কথা মিথ্যে ছিল, আমি তোমায় ভালোবাসিনি! আমি নিজের জন্য আসিনি, অস্তপারের শেষ সূর্যাস্ত আমি দেখিনি, আমি তোমায় ভালোবাসিনি! নীল খামে ভরা খাতায়, লিখেছি ...
গাড়ি চড়েন বাড়ি করেন গায়ে দামি পোশাক পরেন দেখলে লোকে সালাম করে মানুষ তিনি দামি চাকরবাকর খাটিয়ে থাকেন ওনার অনুগামী। ওনার আছে ধনের পাহাড় চলাফেরায় দেখান বাহার কলকারখানা আছে বলে তিনি শিল্পপতি ...
জ্যৈষ্ঠ মানে গ্রীষ্ম দুপুর গনগনে রোদ হয় দখিন হাওয়া নীরব থাকে একটুও না বয়। গাছে গাছে আম পেকে রয় জামও পেকে থাকে মিষ্টি কাঁঠাল সুবাস ছড়ায় স্বপ্ন ছবি আঁকে।