বঙ্গবন্ধুর ফিরে আসা–১

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান
ছবি: সংগৃহীত

বন্দী থেকে গৃহবন্দী

একজন মানুষ পৃথিবীতে যা করেন, তার সবকিছু দুনিয়াজুড়ে আলোচিত হয়। এমন মানুষ বিশ্বে বিরল। বঙ্গবন্ধু ছিলেন এই বিরল মানুষদের একজন। তিনি জীবনে যা করেছেন, সবই প্রায় পৃথিবীজুড়ে আলোচিত হয়েছে। ১৯৩৯ সালে রাজনীতিতে আসেন। সে সময় বয়স মাত্র ১৯ বছর। মুসলিম লীগের একজন সাধারণ কর্মীর মতো করে শুরু করেছিলেন জীবন। বিভিন্ন আন্দোলন–সংগ্রামের মধ্য দিয়ে সেই তিনিই হয়ে উঠলেন এ দেশের মানুষের প্রাণের নেতা। ১৯৪৮ সালের ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু। আর একাত্তরের ২৫ মার্চ রাতে গ্রেপ্তার হওয়া পর্যন্ত প্রায় আড়াই দশক ধরে শোষণ-বঞ্চনার বিরুদ্ধে সংগ্রাম করেছেন।

দীর্ঘ ৯ মাস বন্দী ছিলেন পাকিস্তানের করাগারে। সেখানে তাঁকে রাখা হয় লায়ালপুর জেলে। এটি পাকিস্তানের সবচেয়ে তাপপ্রবণ এলাকা। কোনো কোনো সময় তাপমাত্রা ১০০ ডিগ্রির ওপরে উঠে যায়। বঙ্গবন্ধুকে নিদারুণ কষ্ট দেওয়ার জন্যই এ জেলে নেওয়া হয়েছিল। একাত্তরের ১১ আগস্ট লায়ালপুর জেলে শুরু হয় প্রহসনের বিচার। ৩ ডিসেম্বর এ বিচার শেষ হয়। ১২টি অভিযোগ আনা হয় বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে। এর ছয়টিতে নিশ্চিত ফাঁসি। আর সব অভিযোগে দোষী করে। এ সময় বঙ্গবন্ধুকে লায়ালপুর জেল থেকে রাওয়ালপিন্ডি মিয়ানওয়ালি জেলে আনা হয়।

৪ ডিসেম্বর আদালত তাঁকে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করে। বঙ্গবন্ধু একবার তাঁর অভিযোগের কাগজে লিখলেন ‘সব মিথ্যা’। বিচারের নামে ইয়াহিয়া কোনো রকম একটা বৈধতা দিতে চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু বঙ্গবন্ধুকে হত্যাই ছিল তাঁর চূড়ান্ত লক্ষ্য। ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশের বিজয়ের পর ইয়াহিয়া বঙ্গবন্ধুকে বাঁচিয়ে রাখতে বাধ্য হয়েছিলেন। যুদ্ধ যদি কোনোভাবে ভিন্ন পরিণতি নিত আর ইয়াহিয়া যদি কোনোভাবে টিকে যেতেন, তাহলে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি হিসেবে বঙ্গবন্ধুকে পেতাম না।

বাংলাদেশের বিজয়ে শেষ হয়ে আসে ইয়াহিয়ার দিন। এ সময় একবার তিনি কারাগারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার ষড়যন্ত্র করেছিলেন। এ জন্য কিছু কয়েদি জোটও বেঁধেছিল। জেলার হাবিব আলী সেদিন বঙ্গবন্ধুকে রক্ষা করেছিলেন। একদিন রাত তিনটায় তিনি বঙ্গবন্ধুকে জেল থেকে সরিয়ে ফেলেন।

প্রথম কয়েক দিন হাবিব আলী বঙ্গবন্ধুকে নিজের বাংলোয় লুকিয়ে রেখেছিলেন। তারপর অন্য এক জায়গায় সরিয়ে নেন। সেখান থেকে তাঁকে নেওয়া হয় সরকারি গেস্টহাউস সিহালায়। ২১ ও ২২ ডিসেম্বরের নিউইয়র্ক টাইমস থেকে জানা যায় যে বঙ্গবন্ধুকে গৃহবন্দী করা হয়েছে। তবে তাঁকে মুক্তি দেওয়া হবে। শেষ হলো বঙ্গবন্ধুর পাকিস্তানের কারাগারের বন্দিজীবন। তিনি এখন রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন সিহালায় গৃহবন্দী।

বঙ্গবন্ধুর কাছে ভুট্টোর শেষ অনুরোধ

একাত্তরের ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশের বিজয়ের দিন। আর এদিন থেকে প্রায় নিশ্চিত হয়ে যায় ইয়াহিয়ার পতন। ইয়াহিয়ার পর ক্ষমতার অপেক্ষায় জুলফিকার আলী ভুট্টো। তিনি ভুট্টোকে অনুরোধ করেন যেন প্রয়োজনে পেছনের তারিখ দিয়ে বঙ্গবন্ধুর ফাঁসি কার্যকর করেন। কিন্তু ভুট্টো সেটা করেননি। তিনি বুঝতে পেরেছিলেন বঙ্গবন্ধুর মৃত্যু হলে পাকিস্তান বিশ্বের সমর্থন হারাবে। ভুট্টো একবার ইয়াহিয়াকে বলেছিলেন, ‘আল্লার দোহাই, তাঁকে মারবেন না। আপনার হাতে নিহত হওয়ার চেয়ে অনেক বড় মাপের মানুষ তিনি।’

২০ ডিসেম্বর ক্ষমতায় এলেন ভুট্টো। গৃহবন্দী হলেন ইয়াহিয়া। অন্ধকারে হারিয়ে যায় তাঁর সব ষড়যন্ত্র। একদিন একটি সামরিক হেলিকপ্টার আসে। সেটা ছিল ২৬ ডিসেম্বর। বঙ্গবন্ধুকে রাওয়ালপিন্ডি থেকে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন সিহালায় নেওয়া হলো। এখানে ২৭ ও ২৯ ডিসেম্বর ভুট্টো বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে দুটো বৈঠক করেন। যেকোনো মূল্যে তিনি পাকিস্তানকে টিকিয়ে রাখার অনুরোধ করেন। দুই অংশের মধ্যে যেন যোগসূত্র থাকে। বঙ্গবন্ধু তাঁর কোনো কথাই শুনলেন না। তাঁর একমাত্র ভাবনা দীর্ঘ ৯ মাস ধরে যাঁদের দেখেন না, তাঁর একটি কথায় যাঁরা মৃত্যুর মুখে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন, প্রথমে তাঁদের কাছে ফিরে আসা। ভুট্টোকে তিনি বলেন, ‘আগে আমাকে আমার মানুষের কাছে যেতে দিন। তারপর বলতে পারব কী হবে।’ কিন্তু ভুট্টোর ভাবনায় কেবল পাকিস্তানের চিন্তা। বঙ্গবন্ধুকে দুই পাকিস্তানের সংহতিতে রাজি করাতে তাঁর প্রাণান্তকর চেষ্টার যেন শেষ নেই।

ব্রিটিশ লেখক রবার্ট পেইন তাঁর পাকিস্তানের কারাগারে বঙ্গবন্ধু বইয়ে ভুট্টো কীভাবে পাকিস্তান টিকিয়ে রাখার জন্য বঙ্গবন্ধুকে চাপ সৃষ্টি করেছেন, তার বর্ণনা রয়েছে। সেখানে ভুট্টো বঙ্গবন্ধুকে বলেছেন তাঁরা এই দেশ ও জাতিকে দ্বিধাবিভক্ত হতে দিতে পারেন না। তাঁরা জানেন সবকিছু হয়তো আর আগের মতো হবে না। কিন্তু তাঁদের রয়েছে এক অভিন্ন ধর্ম। তারা এ সত্যের মুখোমুখি যে তাদের জনগণ জাতি হিসেবে এক ও অভিন্ন। এ বন্ধন তাঁরা শেষ হতে দিতে পারেন না। এ বিষয় তাদের গভীরভাবে ভাবতে হবে। অবশ্য পশ্চিম পাকিস্তানেই আলোচনা হতে হবে এমন নয়। যেকোনো নিরপেক্ষ জায়গায় হতে পারে। সেটা ইরান বা সুইজারল্যান্ডেও হতে পারে।

বঙ্গবন্ধু চাইলে কারও হস্তক্ষেপ ছাড়া এখানেই দুজনে আলোচনা সেরে ফেলতে পারেন। কিছু সমস্যা চিরতরে মিটিয়ে ফেলা যায়। তাঁর কাছে একটা বিবৃতি আছে। বঙ্গবন্ধুকে সেটা শোনাতে পারেন। বঙ্গবন্ধু বললেন, ওটা তাঁর শোনার প্রয়োজন নেই। বঙ্গবন্ধু এখনো বন্দী। তিনি জানেন না বাংলার মানুষের কী অবস্থা। তাঁর মা–বাবা, স্ত্রী ও পুত্র–কন্যারা বেঁচে আছেন, না মৃত্যু হয়েছে।

তবে চতুর ইয়াহিয়া তাঁকে চাপের মধ্যে রেখে উদ্দেশ্য হাসিল করতে চান। নানা কৌশলে বঙ্গবন্ধুকে রাজি করানোর চেষ্টা করতে থাকেন। বঙ্গবন্ধু বলেন, তিনি তাঁর জনগণের সঙ্গে কথা না বলে কিছুই বলতে পারবেন না। শেষে ভুট্টো বলেন, অন্তত দুই অংশ মিলে যেন একটা কনফেডারেশন হয়। একই সঙ্গে তিনি বঙ্গবন্ধুকে রাষ্ট্রপতি বা প্রধানমন্ত্রীর পদ গ্রহণেরও অনুরোধ করেন।

ভুট্টো বঙ্গবন্ধুর দিকে তাকিয়ে রইলেন। প্রায় বিনীতভাবে বললেন যে তাঁর সম্মান রক্ষার্থে ছোট্ট একটা যুক্ত ইশতেহারে সই দেবেন না? তিনি বঙ্গবন্ধুর জন্য অনেক করেছেন। তার বিনিময়ে বঙ্গবন্ধু অন্তত এতটুকু করতে পারেন।

আপনি যা কিছু বলতে পারেন। কিন্তু আমি কোথাও সই দেব না।

—এত কঠিন হবেন না।

—আপনি যা মনে করেন।

—এই নশ্বর পৃথিবীতে আমরা এভাবে একে অপরের শত্রু হয়ে যাব?

—মি. ভুট্টো শুধু শুধু কথা বলছেন। আমাকে দিয়ে যেটা হবে না, সেই চেষ্টা করছেন।

—দেখবেন, একদিন আমাদের অনুশোচনা করতে হবে।

বঙ্গবন্ধু বলেন, ‘আপনার ইচ্ছা পূরণে আপনি আমাকে জোর করে রাজি করানোর চেষ্টা করছেন। আপনি আমাকে গুলি করতে পারেন। কিন্তু ঢাকায় গিয়ে আমার মন্ত্রীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ না করে কোনো কাগজে সই করব না। আমাকে আটকে রাখা হলে আমি আপনার বন্দী। আমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে আপনি দস্তখত গ্রহণের চেষ্টা করছেন। তাই এখন থেকে যতক্ষণ পর্যন্ত আমাকে মুক্তি দেওয়া না হয়, আমি নীরব থাকব।’

শেষ অনুরোধ, ‘একটি অখণ্ড পাকিস্তান গঠনের ব্যাপারে আপনি কি আমাকে সাহায্য করবেন, নাকি করবেন না?’ এ প্রশ্নের উত্তরেও বঙ্গবন্ধু নীরব থাকেন। এই নীরবতাই ছিল ভুট্টোর সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর শেষ কথোপকথনের অংশ। দুজনেই নীরব হয়ে গেলেন। কারও মুখে কথা নেই। করাচিতে এক জনসভায় ভুট্টো বলেন, শেখ মুজিবকে নিঃশর্ত মুক্তি দেওয়া হবে। জনতা সম্মতি দেয়।

অবরুদ্ধতার অবসান ও বোয়িং-৭০৭

বঙ্গবন্ধুর মুক্তির জন্য বিশ্বনেতাদের চাপে পড়েন ভুট্টো। তাঁকে মুক্তি দিতেই হবে। এ ছাড়া ভুট্টোর সামনে আর কোনো পথ খোলা থাকে না। বিশেষ করে ২৮ ডিসেম্বর থেকে বঙ্গবন্ধুর দেশে ফেরা নিয়ে বিভিন্ন পর্যায়ে আলোচনা হয়। শেষ পর্যন্ত দীর্ঘ অবরুদ্ধতার অবসান ঘটিয়ে ৭ জানুয়ারি মধ্যরাতে মুক্ত হন বঙ্গবন্ধু। তিনি সরাসরি ঢাকা বা ভারতে আসতে পারতেন। কিন্তু পাকিস্তানিরা এটা চায়নি। এটাকে তারা অপমান মনে করেছে। এ ছাড়া আরও দুটি কারণ হলো ভারতের ওপর দিয়ে পাকিস্তানি বিমান চলাচলের নিষেধাজ্ঞা। আরেকটি হলো বাংলাদেশের সঙ্গে বিমান চালু না হওয়া।

তখন ইরানের মোহাম্মদ রেজা শাহ পহলভী, মাও সে–তুং ও আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নিক্সন পাকিস্তানি সামরিক একনায়কের একনিষ্ঠ সমর্থক। ভুট্টো বঙ্গবন্ধুকে ইরান অথবা তুরস্কে যাওয়ার কথা বলেছিলেন। ভুট্টোর লক্ষ্য ছিল ইরানের বাদশাহ রেজা শাহকে দিয়ে বঙ্গবন্ধুকে অনুরোধ করান। যেন পাকিস্তানের সঙ্গে যেকোনো ধরনের একটা সম্পর্ক থাকে। বঙ্গবন্ধুও খুব ভালো করে এসব ষড়যন্ত্র বুঝতে পেরেছিলেন। তাই তিনি ইরান বা তুরস্ক যেতে চাননি। পরে তাঁকে লন্ডনে পাঠানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়। বঙ্গবন্ধুর জন্য পিআইএর একটি বিশেষ বিমান বোয়িং ৭০৭–এর ব্যবস্থা করা হয়।

অবশেষে ৭ জানুয়ারি মধ্যরাত। পাকিস্তানের নতুন প্রেসিডেন্ট জেড এ ভুট্টোর গাড়িবহর চাখালা বিমানবন্দরের রানওয়েতে থামে। চারপাশ ঘিরে ফেলে সৈন্যরা। সবাই নির্বাক। ভুট্টোর চেহারা বিবর্ণ। মুখে কোনো কথা নেই। বিদায়ের মুহূর্তে বঙ্গবন্ধুর এক অজানা আশঙ্কা। মাত্র কয়েক গজ দূরেই বিশেষ বিমান বোয়িং ৭০৭ আকাশে ওড়ার জন্য প্রস্তুত। পাইলট, স্টুয়ার্ট সবাই রেডি। বিমানের দরজায় স্বাগত ভঙ্গিতে দাঁড়িয়ে এয়ার হোস্টেস। বঙ্গবন্ধু বিমানের সিঁড়িতে উঠলেন। ভুট্টোর দিকে তাকিয়ে হাত নাড়লেন। ভুট্টোও হাত তুলে বঙ্গবন্ধুকে বিদায় সম্ভাষণ জানালেন।

ড. কামাল হোসেন পাকিস্তানের হরিপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দী ছিলেন। ২৮ ডিসেম্বর তাঁকেও সিহালা গেস্টহাউসে আনা হয়। বঙ্গবন্ধু ও ড. কামাল হোসেন বিমানে ওঠেন। বিমানটি প্রথমে ইসলামাবাদ থেকে করাচি আসে। করাচি থেকে কামাল হোসেনের স্ত্রী ও দুই মেয়ে ওঠেন। দীর্ঘ ৯ মাস ১৪ দিন পর মুক্ত হলেন বঙ্গবন্ধু। তাঁর মুক্তির প্রায় ৭ ঘণ্টা পর লন্ডনের উদ্দেশে রওনা হন। পিআইএর বিশেষ বিমান বোয়িং ৭০৭ এখন ইউরোপের আকাশে। ঘড়িতে ভোর ৫টা ১৫ মিনিট। হিথরো বিমানবন্দরের কন্ট্রোল টাওয়ারের অনুমতি চেয়ে রেডিও বার্তা পাঠান হলো।

এর ঠিক পাঁচ মিনিট পর আবার পাকিস্তানের সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষের অনুরোধসংবলিত আরেকটি রেডিও বার্তা এল হিথরো বিমানবন্দরে। বার্তাটি হলো: দয়া করে পররাষ্ট্র দপ্তরে জরুরি মেসেজ দেবেন যে পাকিস্তান থেকে লন্ডন অভিমুখী বিমানটি কোনো টাইম শিডিউল ছাড়াই এখন আকাশে। বিমানের যাত্রী শেখ মুজিবুর রহমানের অনুরোধে বিমানটি লন্ডনের উদ্দেশে রাওয়ালপিন্ডি ত্যাগ করেছে।

১৯৭২ সালের ৮ জানুয়ারি সবাই জানতে পারে বঙ্গবন্ধু মুক্তি পেয়েছেন। তিনি লন্ডনে পৌঁছেছেন। বঙ্গবন্ধুকে বহনকারী পিআইয়ের বোয়িং ৭০৭ লন্ডনের হিথরো বিমানবন্দরে অবতরণের আগপর্যন্ত কেউ তাঁর গন্তব্য সম্পর্কে জানতে পারেনি। রেডিও পাকিস্তানের খবরে বলা হয়, পাকিস্তান সরকারের একটি বিশেষ বিমানে শেখ মুজিব ভোর তিনটায় রাওয়ালপিন্ডি ত্যাগ করেছেন।

সেদিন এয়ার মার্শাল জাফর চৌধুরী বিমানে বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে ছিলেন। তিনি তাঁর মোজাইক অব মেমোরি গ্রন্থে বলেছেন, সকাল ছয়টায় তাঁরা লন্ডনে অবতরণ করেন। বিমানবন্দরের কয়েকজন কর্মচারী বঙ্গবন্ধুকে ভিআইপি লাউঞ্জে নিয়ে যান। কিছুটা অনিচ্ছা সত্ত্বেও তিনি ভিআইপি কক্ষের দিকে এগিয়ে গেলেন। বঙ্গবন্ধু কয়েকজনকে ফোন করলেন। কিন্তু এত ভোরে কাউকে পাওয়া গেল না। শুধু মাহমুদ হাসান নামে একজন পারিবারিক বন্ধুকে পেলেন।

বঙ্গবন্ধু এয়ার মার্শালকে বললেন যে তিনি তাঁর জন্য অনেক করেছেন। এখন তিনি তাঁর নিজের মানুষদের সঙ্গে কথা বলবেন। কারণ, তিনি হলেন তাঁদের নেতা। এরপর চলে গেলেন এয়ার মার্শাল। (চলবে)

আরও পড়ুন
আরও পড়ুন