লাইফস্টাইল সাংবাদিকতা শুধু বিনোদন নয়, জীবনবোধেরও প্রকাশ

লাইফস্টাইল সাংবাদিকতা কেবল বিনোদন নয়, এটি জীবনবোধ, সংস্কৃতি ও মূল্যবোধের বহিঃপ্রকাশছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের লাইফস্টাইল সাংবাদিকতায় এক অনন্য নাম গাজী আনিস। মানুষের দৈনন্দিন জীবন, রুচি, পোশাক, ভ্রমণ, খাদ্য ও সংস্কৃতিকে নতুন ও ভিন্ন আঙ্গিকে পাঠকের সামনে তুলে ধরেন তিনি। সংবেদনশীল দৃষ্টিভঙ্গি ও সাবলীল সংবাদ উপস্থাপনের মধ্য দিয়ে জয় করেছেন পাঠকের আস্থা। শহরের ব্যস্ততা থেকে শুরু করে গ্রামের সহজ–সরল জীবনযাপন— সবকিছুর ভেতর থেকে গল্প খুঁজে বের করার তাঁর আলাদা ক্ষমতা।

এক দশক ধরে গাজী আনিস কাজ করছেন বিভিন্ন জাতীয় পত্রিকা, অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ও টিভি সাংবাদিকতায়। বর্তমানে কাজ করছেন চ্যানেল ২৪-এ লাইফস্টাইল সাংবাদিক হিসেবে। লাইফস্টাইল সাংবাদিকতায় তাঁর অবদান ফুটে ওঠে নানামুখী ফিচার, গভীরতর সাক্ষাৎকার ও ব্যতিক্রমী আয়োজনের মাধ্যমে, যা পাঠককে দিয়েছে ভিন্ন স্বাদের অভিজ্ঞতা। দেশীয় ব্র্যান্ড, নতুন প্রজন্মের উদ্যোক্তা থেকে শুরু করে আন্তর্জাতিক ফ্যাশন ট্রেন্ড—সবকিছুই তাঁর প্রতিবেদনে ধরা দেয় জীবন্তভাবে।

পাঠকের চোখে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করা এই সাংবাদিকের পথচলা নিছক পেশাগত দায়িত্ব নয়, বরং একরাশ ভালোবাসা ও দায়বদ্ধতার ফলন। গাজী আনিস বিশ্বাস করেন, লাইফস্টাইল সাংবাদিকতা কেবল বিনোদন নয়, এটি জীবনবোধ, সংস্কৃতি ও মূল্যবোধের বহিঃপ্রকাশ। এই অভিজ্ঞতা, যাত্রাপথ, চ্যালেঞ্জ ও ভবিষ্যৎ ভাবনা নিয়ে তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন গাজীপুর বন্ধুসভার বন্ধু তানভীর হাসান

বন্ধুসভা: আপনার বেড়ে ওঠা কোথায়? শৈশবের কোন স্মৃতিটি এখন সবচেয়ে বেশি মনে পড়ে?

গাজী আনিস: শৈশব কেটেছে মাটির ঘ্রাণ আর প্রকৃতির ছায়া ঘেরা পরিবেশে। গাছপালা, পাখি আর নদীর ঢেউ—সবকিছুই ছিল জীবনের প্রথম শিক্ষক। ছোটবেলার প্রতিটি মুহূর্তে প্রকৃতির সরল সৌন্দর্য এবং জীবনযাপনের সহজতা শিখেছি। বাইরের দুনিয়ার সঙ্গে পরিচয় অনেক পরে। আধুনিক শিক্ষা বা শহরের আলোর ঝলক দেখার সুযোগও ছিল সীমিত। এইচএসসি পরীক্ষার আগে জেলা শহরে যাওয়া হয়েছে মাত্র তিনবার এবং সেগুলোও ছিল চিকিৎসা বা শিক্ষার কোনো প্রয়োজনে। জন্ম ও বেড়ে ওঠা সাতক্ষীরার শ্যামনগরে। বাড়ি থেকে জেলা শহরের দূরত্ব ছিল ৬০ কিলোমিটারের বেশি। সেই দূরত্ব যেন ছোটবেলার কল্পনা আর বাস্তবের মধ্যে একটি নিখুঁত সেতু।

বন্ধুসভা: ছোটবেলায় কি কখনো ভেবেছিলেন সাংবাদিক হবেন নাকি এ পথটা হঠাৎ আপনার জীবনে তৈরি হয়েছে?

গাজী আনিস: সাংবাদিক হওয়ার কথা বিশেষভাবে কখনো ভাবিনি। অষ্টম শ্রেণিতে উঠে লেখালেখি শুরু করি। ছড়া আর কবিতার সঙ্গে তখন ওঠাবসা। তখন থেকেই বাংলায় অনার্স করার শখ জাগে। বিশ্ববিদ্যালয়জীবনে বাংলার বদলে সুযোগ হয় রাষ্ট্রবিজ্ঞানে। ভাবতে থাকি, লেখালেখি থেকে হয়তো দূরে সরে যাচ্ছি। একসময় সিদ্ধান্ত বদলে ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে ভর্তি হই। ধারণা ছিল, সাংবাদিকতার সঙ্গে কিছুটা হলেও সাহিত্যের যোগসূত্র থাকবে। সেই চিন্তা থেকে ধীরে ধীরে সাংবাদিকতায় প্রবেশ, যা আজ আমার জীবনের চলমান অধ্যায়।

অনেকের ধারণা, লাইফস্টাইল সাংবাদিকতা মানে রূপচর্চা ও সাজসজ্জা–জাতীয় কিছু। কিন্তু এর পরিধি অনেক
ছবি: সংগৃহীত

বন্ধুসভা: প্রথম আলো বন্ধুসভার বিভিন্ন সম্পাদকীয় দায়িত্ব পালন করেছেন। বন্ধুসভার সঙ্গে আপনার যাত্রা শুরু হয়েছিল কবে এবং কীভাবে?

গাজী আনিস: বন্ধুসভার সঙ্গে যাত্রা শুরু হয় সাতক্ষীরায়। তখন বন্ধুসভার কথা মানুষের মুখে মুখে শুনতাম। সরাসরি বন্ধুদের কর্মকাণ্ড দেখতে পাই ২০১৪ সালের দিকে। ২০১৫ সালে ড্যাফোডিল বন্ধুসভায় যুক্ত হয়ে পুরোপুরিভাবে বন্ধুসভায় কাজ শুরু করি। এরপর নিয়মিত বন্ধু হয়ে বিভিন্ন সময়ে সংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদক, সহসভাপতি এবং সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি। ঢাকা মহানগর বন্ধুসভায় তিনবার যুগ্ম সম্পাদক এবং একবার সম্পাদক হিসেবে কাজ করেছি। জাতীয় পরিচালনা পর্ষদে পরপর দুবার যুগ্ম সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছি। ২০২৪-২৫ মেয়াদেও দায়িত্বে রয়েছি।

বন্ধুসভা: বন্ধুসভার দিনগুলো থেকে পাওয়া কোন শিক্ষা আপনার কাজে সবচেয়ে বেশি সাহায্য করে?

গাজী আনিস: ড্যাফোডিল বন্ধুসভায় যোগ দেওয়ার সময় বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩০টির বেশি সক্রিয় সংগঠন ছিল। তার মধ্যে কাজের দিক থেকে বন্ধুসভা উল্লেখযোগ্যভাবে এগিয়ে ছিল। সেখানে আমাদের শুধু পরিচিতি বাড়েনি, বরং অল্প সময়ের মধ্যে সাংগঠনিক দক্ষতাও অর্জন করি। ক্যাম্পাসে আমাদের গুরুত্ব বাড়তে থাকে এবং সেই সুবাদে পার্টটাইম কাজ বা বিভিন্ন সুযোগ আসতে থাকে।

সবচেয়ে বড় শিক্ষা ছিল সাংগঠনিক দক্ষতা। যা আজও কর্মক্ষেত্র এবং ব্যক্তিজীবনে সাহায্য করছে। সাংবাদিকতার ক্ষেত্রেও এই শিক্ষা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের কাজ সমাজ, সংস্কৃতি এবং বিভিন্ন ধরনের মানুষের সঙ্গে। বন্ধুসভার সেই অভিজ্ঞতা আমাকে মানুষ এবং পরিস্থিতি বুঝতে এবং আরও কার্যকরভাবে কাজ করতে শিখিয়েছে।

আরও পড়ুন

বন্ধুসভা: সাংগঠনিক কোন অভিজ্ঞতা বা শিক্ষা আজকের গাজী আনিসকে গড়ে তুলেছে?

গাজী আনিস: সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনে যারা যুক্ত হয়, তাদের নিজেদের অভ্যন্তরীণ অনেক পরিবর্তন আসে। জ্ঞানের পরিধি বাড়ে, নেতৃত্বের গুণাবলি তৈরি হয়, কঠিন সময় মোকাবিলা করার দক্ষতাও বাড়ে; যেগুলো আমাকেও ঘুরে দাঁড়াতে সহযোগিতা করেছে। তবে ‘সর্বদা নমনীয়তা’ সূত্র আমাকে একটা অবস্থান ধরে রাখতে সহযোগিতা করেছে। বিভিন্ন পরিস্থিতিতে অনেকেই যেখানে ধৈর্য হারিয়ে নেতিবাচক পরিস্থিতিতে পড়েন, আমি ভালোবাসা দিয়ে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করি। ‘স্থির হয়ে পরিকল্পনা, দুঃখ প্রকাশ, আর ভালোবাসা’—তিনটি বিষয় আমাকে একটা অবস্থান এনে দিয়েছে।

বন্ধুসভা: লাইফস্টাইল সাংবাদিকতা বেছে নেওয়ার পেছনে অনুপ্রেরণা কী ছিল?

গাজী আনিস: লাইফস্টাইল সাংবাদিকতায় যুক্ত হতে চাইনি। কোনো এক সময় খেয়াল করলাম, এর গভীরে আমি প্রবেশ করেছি। যখন আরটিভিতে চাকরি শুরু করি, যেখানে বিনোদন সাংবাদিকতা করতাম, সঙ্গে লাইফস্টাইলের নিউজ দেওয়া হয়। এরপর জাতীয় পত্রিকা সময়ের আলোতে ‘জীবন যখন যেমন’ পাতা বের করি। পরে বৃহৎ পরিসরে কাজ হয় চ্যানেল-২৪–এ। লাইফস্টাইলে জীবনযাপনের সঙ্গে সম্পর্কিত অনেক কিছু নিয়েই কাজ করেছি। ঝুলিতে উঠেছে লাইফস্টাইল সাংবাদিকতার সম্মাননা। এই বিট নিয়ে আরও বড় পরিসরে কাজের সুযোগ আছে। বিভিন্ন টেলিভিশন এবং পত্রিকায় লাইফস্টাইলের জন্য আলাদা জায়গা আছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোর্টাল এবং পত্রিকায় লাইফস্টাইলের নিউজগুলোর পাঠকসংখ্যাও অনেক বেশি। অনেকের ধারণা, লাইফস্টাইল সাংবাদিকতা মানে রূপচর্চা ও সাজসজ্জা–জাতীয় কিছু। কিন্তু এর পরিধি অনেক। সাংবাদিকতার যত বিট আছে, সবকিছু লাইফস্টাইল সাংবাদিকতার মধ্যে এনে আপনি তথ্য পরিবেশন করতে পারবেন।

লাইফস্টাইল সাংবাদিকতায় বিভিন্ন পুরস্কারও পেয়েছেন গাজী আনিস
ছবি: সংগৃহীত

বন্ধুসভা: লাইফস্টাইল সাংবাদিক হিসেবে কাজ করতে গিয়ে কোন বিষয়গুলো সবচেয়ে চ্যালেঞ্জিং মনে হয়?

গাজী আনিস: অন্যান্য বিটের সাংবাদিকতায় অফিস থেকে অনেক সময় বিষয় নির্বাচন করে দেয় বা নির্ধারিত অনেক অ্যাসাইনমেন্ট পাঠায়। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সামঞ্জস্য এমন বিষয় নিয়ে লাইফস্টাইল সাংবাদিকতায় অনেকটা একাকী কাজ করতে হয়। প্রতিষ্ঠানগুলো এই বিভাগের জন্য অতিরিক্ত কর্মী নিয়োগ করতে চায় না। যে কারণে সহজে ভালো ভালো কনটেন্ট সামনে আসে না। দেখা যায়, যখন যে ট্রেন্ড চলছে এক প্রতিষ্ঠান আরেক প্রতিষ্ঠানের কপি করে চলছে। এখানেও অনেক কিছু যাচাই-বাছাই করে প্রকাশ করতে হয়। তাই অনেকের জন্য চ্যালেঞ্জের হয়ে দাঁড়ায়।

বিভিন্ন ক্ষেত্রের অভিজ্ঞদের সঙ্গে আপনার যত বেশি সংযোগ থাকবে, তত ভালো সংবাদ উপহার দিতে পারবেন। আমার জন্য এমনও চ্যালেঞ্জ ছিল—একসময় প্রতিদিন পত্রিকায় একটি করে রেসিপি ছাপতে হতো, সঙ্গে একটা করে স্পেশাল স্টোরিও। সে জন্য দরকার ছিল উদ্যোক্তা, রন্ধনশিল্পী ও শেফদের সঙ্গে খুব ভালো মানের সম্পর্ক। আমার কনটেন্টের মধ্যে যথেষ্ট ভিন্নতা আছে। যে কারণে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে এখনো চাকরির অফার পাই।

বন্ধুসভা: ডিজিটাল যুগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলো লাইফস্টাইল সাংবাদিকতায় কতটা প্রভাব ফেলছে বলে মনে করেন? এতে সাংবাদিকদের জন্য নতুন কী সুযোগ ও চ্যালেঞ্জ তৈরি হয়েছে?

গাজী আনিস: চ্যালেঞ্জ নয়, বরং সম্ভাবনার দরজা উন্মুক্ত হয়েছে। ডিজিটাল যুগে লাইফস্টাইল সাংবাদিকতা আরও বেশি জীবন্ত হয়েছে। এখন এমন অনেক কনটেন্ট আছে যেগুলো বছরের পর বছর ধরে সময়ের প্রাসঙ্গিকতা ধরে রেখেছে। প্রয়োজনের সময় মানুষ এসব তথ্য সোশ্যাল মিডিয়া, গুগল কিংবা বিভিন্ন অনলাইন পোর্টালে খুঁজে নেয়। এতে অজানা অনেক তথ্য সামনে আসে, যা আগে হয়তো অদৃশ্যই থেকে যেত।

এ ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জও কম নয়। গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো, বিশেষ করে যেখানে প্রকৃত তথ্য বা বিশ্লেষণ প্রয়োজন, সেখানে অনেকেই যাচাই না করে নিজের মতো করে প্রকাশ করছে। ফলে ভুল তথ্যের আশঙ্কাও তৈরি হচ্ছে। তাই সত্য যাচাই করে, বিশেষজ্ঞদের মতামত নিয়ে কনটেন্ট প্রকাশ করা এখন সাংবাদিকদের জন্য একটি বড় দায়িত্ব।

আরও পড়ুন

বন্ধুসভা: বর্তমান প্রজন্মের জীবনধারার কোন পরিবর্তন আপনাকে সবচেয়ে বেশি বিস্মিত করে বা ভাবায়?

গাজী আনিস: আমরা অনেকেই অন্যের মতো হতে চেয়ে নিজের প্রতিভা-সম্ভাবনা নষ্ট করে ফেলি। ঠিকমতো কাজ না করে দ্রুত বড় হওয়ার চেষ্টা বা আর্থিক সফলতা পাওয়ার ইচ্ছাও আমাদের চলার পথে বাধা সৃষ্টি করে। অথচ বিশ্বায়নের এ যুগে প্রান্তিক পর্যায় থেকেও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পরিচিতি পাওয়ার সুযোগ তৈরি হচ্ছে প্রতিনিয়ত। সেখানে পৌঁছাতে হলে পড়ালেখার পাশাপাশি অন্তত নিজের ভিন্নধর্মী দুটি প্রতিভা খুঁজে বের করে সেগুলোর পরিচর্যা করা জরুরি।

বন্ধুসভা: সাংবাদিক হতে চাওয়া তরুণদের জন্য আপনার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ কী হবে?

গাজী আনিস: দেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে কর্মীদের ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত করছে, এমন প্রতিষ্ঠান খুবই কম। দুর্ভাগ্যজনকভাবে, আমাদের এই সেক্টরেও এখন নানা অশুভ শক্তি ভর করেছে। সাংবাদিকতার মাধ্যমে পরিবার-সংসারে সচ্ছলতা আনতে চাইলে সবার আগে কাঙ্ক্ষিত প্রতিষ্ঠানের বেতন–ভাতা ও কর্মপরিবেশ সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে নেওয়া উচিত।

তবে আশার কথা হলো, যদি সত্যিকার অর্থে প্রতিভাবান হন, লেখালেখি ও সাংবাদিকতার মাধ্যমে আপনার সামনে উন্মুক্ত হতে পারে অসংখ্য সম্ভাবনার দরজা। বর্তমানে সাংবাদিকতায় অনার্স ও মাস্টার্স ডিগ্রি করার সুযোগ রয়েছে। আবার অন্য কোনো বিষয়ে পড়াশোনা শেষ করলেও ডিপ্লোমা বা শর্ট কোর্সের মাধ্যমে এই পেশায় যুক্ত হওয়া সম্ভব। সঠিক পথ বেছে নিয়ে নিষ্ঠা, অধ্যবসায় ও সৃজনশীলতা দিয়ে এগিয়ে যেতে চাইলে সাংবাদিকতা হতে পারে আপনার স্বপ্নপূরণের সোপান।