তোমার চুলের নরম সিঁথি
যেন গ্রামবাংলার মেঠো পথ।
যে পথে অনেক হেঁটেছি আমি
কোনো গন্তব্য পাইনি।
দীর্ঘ তোমার ঘনকালো গভীর চুলে
সুঘ্রাণ মুঠো মুঠো লুকিয়েছি এক বিকেলে।
তুমি আলগা করতে যখন খোঁপাগুচ্ছ
নেচে উঠত যেন ময়ূরের পেখম পুচ্ছ।
তুমি ছেড়ে দিতে যখন
তোমার খোঁপার বাঁধন।
মনে হতো জলতরঙ্গ ঝরে পড়ছে
নায়াগ্রা জলপ্রপাতের মতন।
তোমার চুলের রাজ্য
যেন আমাজন জঙ্গল।
অবোধ বালকের মতো
বারবার হারিয়েছি মঙ্গল।
তোমার সূক্ষ্ম চুল
যেন রাজশাহীর রেশম।
গুঁটি পোকার মতো
সৃষ্টি করে উন্নত পশম।
তোমার রেশমি চুল
যেন সবুজ ঘাসফুল।
শুয়ে থাকি নীলাকাশের দিকে তাকিয়ে
তীব্র ঘ্রাণে এলোমেলো হৃদয়ে।
তোমার চুলের মিল্কিওয়েতে
যোজন যোজন মাইল হেঁটে
নক্ষত্র কুড়িয়ে আনি
অতল পাতাল ঘেঁটে।
তোমার ভেজা চুল থেকে
ফোঁটা ফোঁটা ঝরে পড়ে জল।
উত্তপ্ত হৃদয় আমার
হয়ে যায় শীতল।
দারুচিনি দ্বীপের মতো
তোমার গুচ্ছ গুচ্ছ চুল।
দশ আঙুলে সে চুলের ঘ্রাণ নিয়ে
আমি করেছিলাম কি ভুল?
তোমার সিঁথির অলিতে-গলিতে
আমার খালি পায়ে হেঁটে চলা।
কিন্তু শুধু মনের কথাটাই
কোনো দিন হলো না বলা।