দাঁতের সাহায্যে জাহাজ টেনে রেকর্ড গড়লেন মিসরীয় যুবক

জাহাজ টানার চ্যালেঞ্জের জন্য ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছিলেন এই কুস্তিগিরছবি: সংগৃহীত

৭০০ টন (৭ লাখ কেজি) ওজনের একটি জাহাজ দাঁতের সাহায্যে টেনে বিশ্ব রেকর্ড করার দাবি করেছেন মিসরীয় যুবক আশরাফ মাহরুস। পরে প্রায় ১ হাজার ১৫০ টন (১১ লাখ ৫০ হাজার কেজি) ওজনের দুটি জাহাজ একসঙ্গে টেনেছেন ৪৪ বছর বয়সী এই কুস্তিগির। গত ২৭ সেপ্টেম্বর মিসরের রেড সি রিসোর্ট হুরগাদায় সমুদ্রে তিনি এই রেকর্ড গড়েছেন বলে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে স্কাই নিউজ।

আশরাফ মাহরুসের আরেক নাম ‘কাবঙ্গা’। মিসরীয়দের কাছে তিনি ‘স্ট্রংম্যান’ নামে পরিচিত। পরে সংবাদমাধ্যমকে মাহরুস বলেন, ‘আজ আমি বিশ্ব রেকর্ড ভাঙতে এসেছি। সৃষ্টিকর্তার প্রতি কৃতজ্ঞতা, আমি দুটো জাহাজ টেনেছি। পুরো পৃথিবী ও বন্ধুদের সামনেও প্রমাণ করতে পেরেছি, সৃষ্টিকর্তা আমাকে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী মানুষ হিসেবে তৈরি করেছেন।’

ইসমালিয়া বন্দরের এই কুস্তিগির জানান, তিনি তাঁর এই রেকর্ডের ভিডিও ও ছবি গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে পাঠাবেন। কারণ, দাঁতের সাহায্যে জাহাজ টানার বর্তমান রেকর্ড ৬১৪ টন (৬ লাখ ১৪ হাজার কেজি) ওজনের জাহাজ। ২০১৮ সালে এই রেকর্ড গড়া হয়।

গত মার্চ মাসে মাহরুস দাঁতের সাহায্যে ২৭৯ টন (২ লাখ ৭৯ হাজার কেজি) ওজনের একটি ট্রেন প্রায় ১০ মিটার (৩৩ ফিট) টেনেছিলেন। গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস তাঁকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতিও দেয়। তিন বছর আগে ১৫ হাজার ৭৩০ কেজি ওজনের একটি ট্রাক দাঁতের সাহায্যে টেনেও গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস গড়েছিলেন তিনি।

এবার জাহাজ টানার চ্যালেঞ্জের জন্য ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছিলেন এই কুস্তিগির। প্রতিদিন ছয় ঘণ্টা অনুশীলন এবং প্রোটিন-সমৃদ্ধ খাবারের ওপর ভিত্তি করে খাদ্যাভ্যাস অনুসরণ, যার মধ্যে প্রতিবেলা অন্তত এক ডজন ডিম, দুটি মুরগি এবং পাঁচ কেজি মাছও ছিল।

আরও পড়ুন

আশরাফ মাহরুসের উচ্চতা ৬ ফুট ৩ ইঞ্চি (১ দশমিক ৯ মি), ওজন ১৫৫ কেজি (৩৪১ পাউন্ড)। তিনি জানান, ছোটবেলা থেকেই তাঁর শরীরে এমন শক্তি। মাত্র ৯ বছর বয়স থেকেই টাকা উপার্জনের জন্য বিভিন্ন জিনিস তোলা শুরু করেন। একবার খেলার সময় এক বন্ধুকে টানতে গিয়ে দুর্ঘটনাক্রমে বন্ধুটির হাত ভেঙে যায়। খেলাধুলা খুব পছন্দ করেন। ছোটবেলায় কুংফু, কিকবক্সিংয়ে প্রশিক্ষণ নেন এবং কায়রোতে একটি রেসলিং দলও গঠন করেন।

মাহরুস কোনো সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করেন না। তিনি বলেন, ‘দিনে অন্তত দুবার খাওয়া, ঘুমানো ও ব্যায়াম করি।’

এই কুস্তিগির জানান, আগামীতে মিসরের প্রেসিডেন্ট আবদুল ফাত্তাহ আল–সিসির কাছে একটি সাবমেরিন টানার অনুমতি চাইবেন। একদিন বিমান টানার স্বপ্নও দেখেন।