যে প্রোগ্রামের মাধ্যমে দ. কোরিয়ার স্টুডেন্ট ভিসা পেতে সহজ হয়
দক্ষিণ কোরিয়ার ইএপি প্রোগ্রাম কী
ইএপি (ইংলিশ ফর একাডেমিক প্রসেস) প্রোগ্রাম হলো একধরনের প্রস্তুতিমূলক কোর্স, যা আপনাকে ইংরেজি ভাষায় দক্ষতা উন্নত করতে সাহায্য করে। এই প্রোগ্রামের মাধ্যমে আপনি দক্ষিণ কোরিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করার জন্য প্রস্তুত হতে পারবেন। এই কোর্সে সাধারণত ইংরেজি রিডিং, রাইটিং, লিসনিং এবং স্পিকিংয়ের ওপর কাজ করা হয়।
ইএপি প্রোগ্রামে ভর্তি হতে কী কী শর্ত প্রয়োজন
১. শিক্ষাগত যোগ্যতা: আপনি যদি বাংলাদেশের এসএসসি/সমমান এবং এইচএসসি/সমমান পরীক্ষায় ন্যূনতম জিপিএ–৩.০০ পেয়ে থাকেন, তাহলে এই প্রোগ্রামে আবেদন করতে পারবেন।
২. ইংরেজি দক্ষতা: ইএপি প্রোগ্রামের জন্য আইইএলটিএস বা টোফেল স্কোরের প্রয়োজন নেই, তবে কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে ইন্টারভিউয়ের মাধ্যমে ইংরেজি ভাষায় দক্ষতার প্রমাণ দিতে হতে পারে।
এই প্রোগ্রামে ভর্তি হতে কত খরচ হবে
টিউশন ফি: দক্ষিণ কোরিয়ায় ইএপি প্রোগ্রামের ফি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিন্ন, তবে সাধারণত ৬০ থেকে ৭০ লাখ কোরিয়ান ওয়ন (KRW) খরচ হতে পারে, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় পাঁচ থেকে ছয় লাখ টাকা।
প্রোগ্রামে ভর্তি প্রক্রিয়া
১. বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন: প্রথমে আপনাকে দক্ষিণ কোরিয়ার কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে ইএপি প্রোগ্রামের জন্য আবেদন করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট থেকে আবেদন ফরম সংগ্রহ করতে হবে এবং প্রয়োজনীয় নথিপত্র জমা দিতে হবে।
২. প্রয়োজনীয় নথি: আবেদন ফরম, পাসপোর্ট ছবি, শিক্ষাগত রেকর্ড (এসএসসি, এইচএসসি), ব্যাংক স্টেটমেন্ট (অর্থনৈতিক সক্ষমতা প্রমাণ) ও আইইএলটিএস/টোফেল স্কোর (যদি থাকে)।
৩. ভিসা আবেদন: একবার ভর্তি নিশ্চিত হলে আপনি দক্ষিণ কোরিয়া যাওয়ার জন্য স্টুডেন্ট ভিসা (ডি-৪–৭) আবেদন করতে পারবেন। সাধারণত ভিসা প্রক্রিয়া শুরু হতে দুই থেকে তিন সপ্তাহ সময় নেয়।
প্রোগ্রাম শেষ হলে পরবর্তী ধাপ
প্রোগ্রাম শেষ করার পর আপনি মূল ডিগ্রি প্রোগ্রামে ভর্তি হতে পারবেন (ডি-২)। এতে আপনাকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার জন্য প্রস্তুতি ভালোভাবে নেওয়া এবং ইংরেজি দক্ষতা উন্নত করা সহজ হবে।
প্রক্রিয়া কত দিনে শেষ হয়
ভর্তি প্রক্রিয়া এবং ভিসা আবেদন মোটামুটি দুই থেকে তিন মাস সময় নিতে পারে। তবে বিশ্ববিদ্যালয় ও ভিসার নীতির ওপর ভিত্তি করে সময় কিছুটা বেশি বা কম হতে পারে।
শিক্ষার্থী, দক্ষিণ কোরিয়া