দক্ষিণ কোরিয়ায় আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য ই-ভিসা
দক্ষিণ কোরিয়ার বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় বর্তমানে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য ই-ভিসা সুবিধা দিচ্ছে। শিক্ষার্থীরা ঘরে বসেই সম্পূর্ণ ভিসাপ্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারছেন। কাগজপত্র জমা দেওয়া থেকে শুরু করে ভিসার কপি সংগ্রহ করা পর্যন্ত পুরো প্রক্রিয়াই অনলাইনে হওয়ায় বাংলাদেশি আবেদনকারীদের মধ্যে এসব প্রতিষ্ঠানের প্রতি আগ্রহ উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। এম্বাসিতে যাওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই।
যেসব বিশ্ববিদ্যালয় ই-ভিসা সুবিধা দিচ্ছে
• আনইয়াং ইউনিভার্সিটি (Anyang University)
• বুসান ইউনিভার্সিটি অব ফরেইন স্টাডিজ (Busan University of Foreign Studies)
• ডং-ই ইউনিভার্সিটি (Dong-Eui University)
• ডংশিন ইউনিভার্সিটি (Dongshin University)
• উসুক ইউনিভার্সিটি (Woosuk University)
• কিয়োংসাং ইউনিভার্সিটি (Kyungsung University)
• কনকুক ইউনিভার্সিটি-সিউল (Konkuk University- Seoul)
• উসঙ ইউনিভার্সিটি (Woosong University)
• কোরিয়া টেক ইউনিভার্সিটি (Korea Tech University)
• জওনবুক ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (Jeonbuk National University)
• সানচন ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (Sunchon National University)।
সহজ ভিসাপ্রক্রিয়া, দ্রুত যোগাযোগব্যবস্থা এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আন্তর্জাতিকায়ন নীতির কারণে এসব প্রতিষ্ঠানে বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তির হার বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিশেষ করে যাঁরা দক্ষিণ কোরিয়ায় উচ্চশিক্ষা নিতে চান, তাঁদের জন্য এটি এক বিরাট সুযোগ।
ভর্তির যোগ্যতা
মাস্টার্স প্রোগ্রামে আবেদনের জন্য সাধারণত ন্যূনতম ব্যাচেলর সিজিপিএ ২.৫০+ এবং ইংরেজি দক্ষতার প্রমাণ হিসেবে আইইএলটিএসের সমমান অন্তত ৫.৫ স্কোর প্রয়োজন।
সুযোগ–সুবিধা
এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে তুলনামূলকভাবে কম টিউশন ফি, স্কলারশিপ, মানসম্মত পাঠক্রম এবং দক্ষিণ কোরিয়ার উন্নত চাকরির বাজার শিক্ষার্থীদের আকর্ষণ আরও বাড়াচ্ছে। অধিকন্তু, মাস্টার্স প্রোগ্রামে শিক্ষার্থীরা প্রতি সপ্তাহে সর্বোচ্চ ৪০ ঘণ্টা পর্যন্ত কাজ করতে পারেন এবং সেমিস্টার বিরতি ২ মাস থাকে, যা শিক্ষার্থীদের জন্য আরও সুবিধাজনক।
অনেক বিশ্ববিদ্যালয় শর্তসাপেক্ষে স্পাউস ভিসা সুবিধা প্রদান করছে, যা আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য একটি বড় প্রলোভন। এর ফলে অনেকেই দক্ষিণ কোরিয়াকে তাঁদের পড়াশোনার জন্য আকর্ষণীয় গন্তব্য হিসেবে মনে করছেন।
এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে মাস্টার্সে সপ্তাহে এক দিন ক্লাস হওয়ায় শিক্ষার্থীদের হাতে পড়াশোনার পর্যাপ্ত সময় থাকে, যা তাঁদের ব্যক্তিগত ও পেশাগত জীবনে আরও উন্নতির সুযোগ প্রদান করে।
বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের মধ্যে ই-ভিসা সুবিধাপ্রাপ্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে বর্তমানে সবচেয়ে পছন্দের তালিকায় দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে বিভিন্ন শিক্ষা পরামর্শক প্রতিষ্ঠান। দক্ষিণ কোরিয়ার উন্নত শিক্ষাব্যবস্থা, চাকরি ও গবেষণার সুযোগ এবং বিদেশি শিক্ষার্থীদের প্রতি সহানুভূতিশীল মনোভাব শিক্ষার্থীদের মধ্যে এই দেশে আসার জন্য একটি বৃহত্তর আগ্রহ তৈরি করছে।
শিক্ষার্থী, দক্ষিণ কোরিয়া