অফিসে সিনিয়রের সঙ্গে সুন্দর সম্পর্ক গড়তে কী করবেন

সিনিয়রের সঙ্গে সম্পর্কটা শুধু ক্ষমতার নয়, এটা শেখার একটা সুযোগছবি: এআই/বন্ধুসভা

নতুন অফিস মানেই নতুন সিনিয়র, যাঁরা আপনার কাজ শিখিয়ে দেবেন, পথ দেখাবেন। অনেকে ভাবেন, সিনিয়র মানেই দূরে দূরে থাকতে হয়, বেশি কথা বলা মানে নাকি ‘পলিটিকস’। বাস্তবে সিনিয়রের সঙ্গে সুন্দর, পেশাদার সম্পর্ক তৈরি করাটাই একজন নতুন কর্মীর বড় শক্তি।

চলুন, জেনে নিই কীভাবে সিনিয়রের সঙ্গে ভারসাম্য রেখে চললে আপনি হবেন সবার প্রিয়—
• ভয় নয়, শ্রদ্ধা করুন: সিনিয়র মানেই ভয় পাওয়ার লোক না। তাঁরা আপনাকে শেখাতে পারবেন, গাইড করতে পারবেন। ভদ্রভাবে কথা বলুন, মিথ্যা প্রশংসা নয়; নম্রভাবে শ্রদ্ধা জানান।

• না বুঝলে প্রশ্ন করুন: অনেক নতুনেরা ভাবেন, ‘বুঝিনি বললে লজ্জা হবে।’ কিন্তু সত্যি হলো, আপনার শেখার বয়স এখনই। তাই প্রশ্ন করাটা দূর্বলতা না, বরং আপনি আগ্রহী এটা বোঝানোর সুযোগ। একবারে না বুঝলে পরে আবারও জিজ্ঞেস করুন, কিন্তু মনোযোগ দিয়ে শুনুন।
• সিনিয়রের সময়কে মূল্য দিন: একটা মেসেজ বা কল দেওয়ার আগে ভাবুন—এটা এখন দেওয়া ঠিক হবে কি না। দরকারি জিনিস আগেই গুছিয়ে বলুন, যাতে তাঁদের সময় বাঁচে। সিনিয়রদের আপনি সময়ের মূল্য দিতে শিখলে, তাঁরাও আপনাকে গুরুত্ব দেবেন।
• শুধু বসের কাছে না, সিনিয়রদের থেকেও শিখুন: সিনিয়র মানেই শুধু বস বা ম্যানেজার না; যাঁরা ৩-৪ বছর ধরে কাজ করছেন, তাঁদের অভিজ্ঞতা থেকে শেখার সুযোগ অনেক। তাঁরা অফিসের অদেখা কিছু নিয়ম বা কৌশল জানেন, যা আপনাকে শুরুতেই অনেক এগিয়ে দেবে।

আরও পড়ুন

• ‘দেখিয়ে শেখা’ শুরু করুন: সিনিয়রদের দেখুন, কীভাবে তাঁরা মিটিং করেন, ই–মেইল লেখেন, রিপোর্ট দেন। মুখে না জিজ্ঞেস করেও আপনি তাঁদের কাজ দেখে অনেক কিছু শিখতে পারবেন। শুরুতেই শেখার সবচেয়ে ভালো উপায় হলো ‘অবজার্ভ অ্যান্ড অ্যাপ্লাই’।

সিনিয়রের সঙ্গে সম্পর্কটা শুধু ক্ষমতার নয়, এটা শেখার একটা সুযোগ। আপনি যদি বিনয়, সম্মান আর আগ্রহ নিয়ে এগিয়ে যান, তাহলে তাঁরাও হবেন আপনার সাইলেন্ট মেন্টর। একদিন হয়তো আপনিই হবেন কারও সিনিয়র। তাই সিনিয়রের সঙ্গে পেশাদার সম্পর্ক গড়তে শেখা মানে নিজের ক্যারিয়ার গড়ে তোলা।

লেখক: মানবসম্পদ কর্মকর্তা, ইউএস–বাংলা গ্রুপ এবং সাধারণ সম্পাদক, ঢাকা মহানগর বন্ধুসভা।