প্রযুক্তি বদলে দিচ্ছে আর্থিক খাত: টিকে থাকতে যা করতে হবে

বন্ধুসভার বন্ধুদের তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ে আগ্রহী করে তুলতে এবং প্রযুক্তির বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জানাতে প্রথম আলো বন্ধুসভা প্রথমবারের মতো আয়োজন করেছে ধারাবাহিক টেক শো। বিশ্বখ্যাত ব্র্যান্ড অনার মোবাইলের সৌজন্যে প্রতি সপ্তাহের বুধবার রাত ৮টা ৩০ মিনিটে শুরু হয়ে ৯টা পর্যন্ত এই টেক শো অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ২৪ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হয় ২১তম পর্ব।

প্রযুক্তি ক্ষেত্রে ক্যারিয়ার গড়তে চাইলে সবার আগে এই খাতে দক্ষ হতে হবেছবি: এআই/বন্ধুসভা

আমরা কেন প্রযুক্তি ব্যবহার করি? জীবনকে আরও সহজ করার জন্য। বর্তমানে সবকিছুতেই প্রযুক্তির প্রভাব রয়েছে। অর্থনৈতিক খাতে ব্যবহারকারী হিসেবে প্রায় সবাই প্রযুক্তির সুবিধা পাচ্ছেন। আপনি ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট খুলবেন, নির্ধারিত অ্যাপের মাধ্যমে মাত্র ৫ থেকে ১০ মিনিটেই অ্যাকাউন্ট খোলা যাচ্ছে। আর এটা সম্ভব হয়েছে যাঁরা এই প্রযুক্তির পেছনে কাজ করছেন, তাঁদের শ্রমের জন্য।

এ বিষয়ে তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ আতিকুর রহমান বলেন, ‘প্রযুক্তি প্রতিনিয়ত পরিবর্তিত হচ্ছে। এর সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে হলে আপনাকে প্রতিদিন শিখতে হবে, জানতে হবে। তাই বলব, প্রযুক্তি কোনো চ্যালেঞ্জ নয়, বরং প্রতিদিন আপডেট থাকতে হবে। কেবল যাঁরা আপডেট থাকতে পারবেন না, তাঁদের জন্য এটা চ্যালেঞ্জ।’

আরও পড়ুন

প্রথম আলো বন্ধুসভার ভার্চ্যুয়াল টেক শোর ২১তম পর্বে আলোচক হিসেবে যুক্ত ছিলেন প্রাইম সিকিউরিটিস লিমিটেডের হেড অব আইটি আতিকুর রহমান। আলোচনার বিষয় ছিল ‘টেক রিশেপিং ফাইন্যান্স: স্কিলস নিডেড টু সার্ভাইব’। বিশ্বখ্যাত ব্র্যান্ড অনার মুঠোফোনের সৌজন্যে ২৪ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে আটটায় এটি অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানটি বন্ধুসভার ফেসবুক পেজ থেকে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়। সঞ্চালনা করেন বন্ধুসভা জাতীয় পর্ষদের সহসভাপতি রুবাইয়াত সাইমুম চৌধুরী।

আতিকুর রহমান বলেন, ‘প্রযুক্তি ক্ষেত্রে ক্যারিয়ার গড়তে চাইলে সবার আগে এই খাতে দক্ষ হতে হবে। তার আগে লক্ষ্য নির্ধারণ করতে হবে যে “আমি আসলে কী করতে চাই?” তারপর সেই অনুযায়ী প্রয়োজনীয় দক্ষতাগুলো শিখতে হবে। এই খাতে অসংখ্য স্কিল রয়েছে।’

‘আমাদের দেশে এখন “ডেভেপস”নামে একটা সুযোগ এসেছে। অর্থাৎ ডেভেলপমেন্ট ও অপারেশনস দুটি মিলিত হয়ে কাজ করে। এখন মার্কেটে এই দুটি কাজ যাঁরা পারেন, তাঁদের অনেক চাহিদা। কিন্তু বর্তমানে যাঁরা গ্র্যাজুয়েশন শেষ করে আসেন, তাঁদের বেশির ভাগই নেটওয়ার্কিং বা সফটওয়ার ডেভেলপমেন্টে চলে যান। তবে “ডেভেপস” জায়গাতে কেউ নেই। থাকলেও দক্ষ লোকজনের অভাব,’ যোগ করেন আতিকুর রহমান।

অনার-বন্ধুসভার ধারাবাহিক লাইভ টেক শো (২১তম পর্ব)।

আতিকুর রহমান আরও বলেন, ‘এখন এআই চলে আসছে। এআই ডেটা ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে কাজ করে। ডেভেলপমেন্ট খাতে আপডেট হচ্ছে। বিভিন্ন ল্যাঙ্গুয়েজ আসছে। পাইথন আছে। এই বিষয়ের ক্যারিয়ারগুলো বর্তমানে সেরা বলব।’

এআইর কারণে কি চাকরি কমে যাওয়ার ঝুঁকি রয়েছে
এআই শিখতে হবে। এর ব্যবহার জানতে হবে। এআই অনেক কিছু সহজ করে দিচ্ছে। এআই নিজেও অনেক কিছু শিখছে।

আতিকুর রহমান বলেন, ‘যখন কম্পিউটার এসেছিল, তখন অনেকেই বলেছিলেন কম্পিউটার মানুষের চাকরি খেয়ে ফেলবে। এক ক্লিকে সব কাজ হয়ে যাবে। কারও ক্যারিয়ার থাকবে না, সব শেষ! এমন নানা কথা ছড়িয়েছিল। বিষয়টা ওরকম হয়নি। এআইর ক্ষেত্রেও একই বিষয়। কেবল কাজের প্যাটার্ন পরিবর্তন হচ্ছে। আগে যে কাজটা করতে ১০ মিনিট লাগত, সেটা এখন ১ মিনিটে হবে। এক দিনের কাজ এক ঘণ্টায় হবে। আমাদের কেবল এআই দিয়ে কাজ করিয়ে নেওয়ার পদ্ধতিটা শিখতে হবে।’