প্রযুক্তি শিক্ষায় স্মার্টফোন যেভাবে ভূমিকা রাখছে

বন্ধুসভার বন্ধুদের তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ে আগ্রহী করে তুলতে এবং প্রযুক্তির বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জানাতে প্রথম আলো বন্ধুসভা প্রথমবারের মতো আয়োজন করেছে ধারাবাহিক টেক শো। বিশ্বখ্যাত ব্র্যান্ড অনার মোবাইলের সৌজন্যে প্রতি সপ্তাহের বুধবার রাত ৮টা ৩০ মিনিটে শুরু হয়ে ৯টা পর্যন্ত এই টেক শো অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ২৮ মে অনুষ্ঠিত হয় চতুর্থ পর্ব।

ছবি: এআই/বন্ধুসভা

‘বর্তমানে মোবাইল এত বেশি শক্তিশালী যে অনেক সময় কম্পিউটারের চেয়েও বেশি শক্তিশালী কাজ করা যায়। আমার যত কনটেন্ট আছে সব সাজিয়েছি মোবাইলের মাধ্যমে। কোনো ল্যাপটপ বা কম্পিউটার ব্যবহার করিনি। আরও অনেক কনটেন্ট ক্রিয়েটর আছে যারা ফোনের মাধ্যমেই সব করছে।’ বলছিলেন টেক কনটেন্ট ক্রিয়েটর আকরাম আইয়ুব রিফাত।

আকরাম আইয়ুব বলেন, ‘আগে কোনো কিছু শেখার জন্য সরাসরি শিক্ষকের শরণাপন্ন হতে হতো। বর্তমানে স্মার্টফোনের কল্যাণে ঘরে বসেই আরও ভালো কিছু শেখা যায়। অনলাইনে অসংখ্য কোর্স পাওয়া যায়, অল্প টাকাতেই কেনা যাচ্ছে। মোটকথা, আমাদের শিক্ষিত করার জন্য স্মার্টফোনের সক্ষমতা অনেক বেশি।’

আরও পড়ুন

প্রথম আলো বন্ধুসভার ভার্চ্যুয়াল টেক শোর চতুর্থ পর্বের আলোচনার বিষয় ছিল ‘টেক এডুকেশন ফর অল: হাউ স্মার্টফোনস আর ব্রিডজিং গ্যাপ’। বিশ্বখ্যাত ব্র্যান্ড অনার মুঠোফোনের সৌজন্যে ২৮ মে রাত সাড়ে আটটায় এটি অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানটি বন্ধুসভার ফেসবুক পেজ থেকে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়।

আলোচক হিসেবে ছিলেন টেক কনটেন্ট ক্রিয়েটর আকরাম আইয়ুব রিফাত। তাঁর আলোচনায় উঠে আসে জ্ঞানার্জনের জন্য স্মার্টফোনের ভূমিকা, স্মার্টফোন ব্যবহার করে কোন কোন দক্ষতা শেখা যায় এবং প্রযুক্তি কীভাবে সর্বসাধারণের কাছে পৌঁছে দেওয়া যায় সহ বিভিন্ন দিক। সঞ্চালনা করেন ঢাকা মহানগর বন্ধুসভার সাধারণ সম্পাদক হাসান মাহমুদ সম্রাট।

স্মার্টফোনের কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে জানিয়ে আকরাম আইয়ুব বলেন, ‘আপনি চাইলেই গ্রাফিকস ডিজাইন, ভিডিও এডিটিং এসব ফোনে শিখতে পারবেন। তবে প্রো লেভেলের কিছু করা যাবে না। আর স্মার্টফোনের যতটুকু সীমাবদ্ধতা আছে ওই অনুযায়ী বলব, আগে জ্ঞানার্জন করেন। এ জন্য প্রথমে তথ্যসমৃদ্ধ বা জ্ঞানার্জন করা যায়, এমন চ্যানেলগুলো সাবস্ক্রাইব করতে হবে। যত ভালো ভালো পেজ ও চ্যানেল আছে তাদের ফলো করতে হবে।’

অনার-বন্ধুসভার ধারাবাহিক লাইভ টেক শো (চতুর্থ পর্ব)।

প্রযুক্তি সর্বসাধারণের কাছে পৌঁছে দেওয়ার ব্যাপারে এই কনটেন্ট ক্রিয়েটর বলেন, ‘সরকারিভাবে আমাদের শিক্ষার কারিকুলামে এআই, ডিজিটাল মার্কেটিং, বিভিন্ন এডিটিং, গ্রাফিকস ডিজাইন—এ কোর্সগুলো রাখা উচিত। প্রযুক্তিকেন্দ্রিক একটি কারিকুলাম সাজানো উচিত। পাশাপাশি অভিভাবকদের উচিত হবে যত দিন সরকার এ কাজটা না করছে, তত দিন এগুলো নিয়ে সন্তানদের শেখানো বা এর জন্য উৎসাহ দেওয়া। চ্যাটজিপিটি, গুগল সার্চ এগুলো শেখাটা জরুরি।’

উল্লেখ্য, লাইভ শোটির প্রতিটি পর্বে রয়েছে অনারের বিভিন্ন প্রোডাক্ট কিংবা প্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ টেক কুইজ। প্রতি পর্বে কুইজে অংশগ্রহণকারী ভাগ্যবান একজন বিজয়ী জেতার সুযোগ পাচ্ছেন অনার এক্সসেভেন লাইট ইয়ারবাডস। ২১ মে অনুষ্ঠিত তৃতীয় পর্বে কুইজ বিজয়ী হয়েছেন মাহফুজার রহমান।