টেক শো
ডিজিটাল মিডিয়া: সুযোগ, চ্যালেঞ্জ আর তরুণদের সম্ভাবনা
বন্ধুসভার বন্ধুদের তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ে আগ্রহী করে তুলতে এবং প্রযুক্তির বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জানাতে প্রথম আলো বন্ধুসভা প্রথমবারের মতো আয়োজন করেছে ধারাবাহিক টেক শো। বিশ্বখ্যাত ব্র্যান্ড অনার মোবাইলের সৌজন্যে প্রতি সপ্তাহের বুধবার রাত ৮টা ৩০ মিনিটে শুরু হয়ে ৯টা পর্যন্ত এই টেক শো অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ২২ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হয় ২৫তম পর্ব।
ডিজিটাল মিডিয়া হচ্ছে আপনার গল্প, ভাবনা, আপনার কণ্ঠ বিশ্বজুড়ে পৌঁছে দেওয়ার খুবই সহজ, দ্রুত এবং প্রভাবশালী একটি প্ল্যাটফর্ম। এই মাধ্যমে আপনি একই সঙ্গে তথ্য, বিনোদন, যোগাযোগ, প্রযুক্তি খুব দ্রুততার সঙ্গে ছড়িয়ে দিতে পারেন এবং এটা খুব দ্রুত প্রভাব ফেলে।
ডিজিটাল মিডিয়া একদিকে যেমন সুযোগ তৈরি করছে, অন্যদিকে অনেক চ্যালেঞ্জও রয়েছে জানিয়ে সংবাদমাধ্যম স্টার নিউজের হেড অব ডিজিটাল মিডিয়া নয়ন কুমার রুদ্র বলেন, ‘চ্যালেঞ্জগুলো ভালোভাবে মোকাবিলা করতে পারলেই এই খাতে আপনার জন্য অবারিত সুযোগ রয়েছে।’ প্রথম আলো বন্ধুসভার ভার্চ্যুয়াল টেক শোর ২৫তম পর্বে আলোচক হিসেবে যুক্ত ছিলেন তিনি। তাঁর আলোচনার বিষয় ছিল ‘ফিউচার ইন ডিজিটাল মিডিয়া: অপরচুনিটিস ফর ইয়ুথ’।
বিশ্বখ্যাত ব্র্যান্ড অনার মুঠোফোনের সৌজন্যে ২২ অক্টোবর রাত সাড়ে ৮টায় এটি অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানটি বন্ধুসভার ফেসবুক পেজ থেকে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়। সঞ্চালনা করেন বন্ধুসভা জাতীয় পরিচালনা পর্ষদের সহসভাপতি রুবাইয়াত সাইমুম চৌধুরী।
বিভিন্ন জরিপের বরাত দিয়ে স্টার নিউজের হেড অব ডিজিটাল মিডিয়া নয়ন কুমার রুদ্র বলেন, ‘আমরা এখন স্বল্পদৈর্ঘ্যের কনটেন্টের দিকে বেশি দৌড়াচ্ছি। যেমন ইউটিউবের শর্টস, ফেসবুকের রিলস বা টিকটকের ভিডিওগুলো। ফরম্যাটের দিকে চিন্তা করলে এই ভিডিওগুলো বেশি জনপ্রিয় হচ্ছে। কিন্তু যদি কনটেন্টের গভীরতার দিকে চিন্তা করি, তাহলে এখন সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় হচ্ছে এক্সপ্লেইনার ভিডিওগুলো। মানুষ এখন একটু ভিজ্যুয়ালি সাউন্ড এক্সপ্লেইনার দেখতে চায়। ইনফোটেইন্টমেন্ট, পডকাস্ট বা এডুকেশনাল কনটেন্ট মানুষের কাছে বেশি পৌঁছাচ্ছে।’
কোন ধরনের কনটেন্ট দীর্ঘমেয়াদি
মানুষ এখন ভিউর দিকে অনেক বেশি মনোযোগী। কিন্তু এই ভিউটা আসলে একটা স্বল্পমেয়াদি বেনিফিট তৈরি করে। দীর্ঘমেয়াদি চিন্তা করলে কনটেন্টের মানের দিকে বেশি মনোযোগ দিতে হবে। নয়ন কুমার রুদ্র বলেন, ‘রিলস বানান বা বড় দৈর্ঘের কনটেন্ট; কনটেন্টের মান ঠিক রাখতে হবে।’
কাদের জন্য ডিজিটাল মিডিয়ায় বেশি সুযোগ
ডিজিটাল মিডিয়া অনেক বড় একটি প্ল্যাটফর্ম। এখানে যেমন সাংবাদিকতা নিয়ে পড়াশোনা করে এসে কেউ কাজ করছেন, তেমনি কেউ কম্পিউটারবিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিষয়ে পড়াশোনা করেও কাজ করছেন। উভয়েই কিন্তু ভালো করছেন। একই সঙ্গে যাঁরা ভিডিও এডিট জানেন, তাঁদের জন্য একটা সুযোগ আছে; যাঁরা ফটো এডিটিং জানেন, তাঁদের জন্য সুযোগ আছে; যাঁরা গ্রাফিক ডিজাইনার, তাঁরাও এখানে বেশ ভালো একটা জায়গা করে নিচ্ছেন। টেকনিক্যাল অংশের লাইভ স্ট্রিমিং আছে।
আরেকটি অংশ হচ্ছে কমিউনিটি গাইডলাইন, কমিউনিটি স্ট্যান্ডার্ড। এই ব্যাপারগুলো সম্পর্কে জানাশোনা, ফ্যাক্ট চেক সম্পর্কে জানাশোনা। সবকিছু মিলিয়ে এটি অনেক বড় একটি প্ল্যাটফর্ম। কেউ যদি এর মধ্যে এক বা একাধিক জায়গায় শক্তপোক্ত অবস্থান তৈরি করতে পারেন, খুব সহজেই তিনি ডিজিটাল মিডিয়ায় নিজের একটি জায়গা করে নিতে পারবেন।
ডিজিটাল মিডিয়ায় ক্যারিয়ার গড়তে চাইলে
ডিজিটাল মিডিয়ায় ক্যারিয়ার গড়তে চাইলে স্টোরিটেলিং বা কনটেন্ট স্ট্র্যাটেজির দক্ষতা থাকতে হবে, ভিডিও এডিটিং বা ভিজ্যুয়াল কমিউনিকেশন এবং অডিয়েন্স অ্যানালাইসিস—এই তিন দক্ষতা অবশ্যই লাগবে।
নিজের ডিজিটাল প্রোফাইলে পারসোনাল ব্র্যান্ডিংটাও গুরুত্বপূর্ণ। এই ব্র্যান্ডিং হচ্ছে ডিজিটাল সিভি। এই যুগে পারসোনাল ব্র্যান্ডিং না থাকলে আপনি নিজেই দিন শেষে পিছিয়ে থাকবেন।