‘আমাদের উচিত গাছ রোপণের মাধ্যমে দেশের সম্পদ রক্ষা করা’

নোয়াখালী বন্ধুসভার উপহার দেওয়া বৃক্ষ হাতে শিক্ষার্থীরা
ছবি: বন্ধুসভা

বৃক্ষ রোপণের দ্বারা যেমন পৃথিবীকে সুন্দর ও সজীব করা জরুরি, তার চেয়ে বেশি জরুরি আমাদের এই সুন্দর পৃথিবীকে দূষণমুক্ত রাখা। আমরা বলে থাকি ‘তারুণ্যই শক্তি, তরুণেরাই দেশের ভবিষ্যৎ’; কিন্তু দেখা গেছে, ইদানীং তরুণসমাজের দ্বারাই আমাদের পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে পড়ছে। এর অন্যতম কারণ দূষণ। বিশেষ করে প্লাস্টিক জাতীয় বর্জ্যের মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহার এবং যত্রতত্র বর্জ্য নিক্ষেপ।

তাই এবারের বৃক্ষ রোপণ কর্মসূচি-২০২৩–এর ‘প্লাস্টিকমুক্ত পৃথিবী চাই, গাছ লাগাই, গাছ বাঁচাই’ প্রতিপাদ্যকে সফল করতে বৃক্ষ রোপণের পাশাপাশি শিশু-কিশোর ও তরুণদের মধ্যে সচেতনতা ছড়িয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে মাঠে নামেন নোয়াখালী বন্ধুসভার বন্ধুরা। শুরুতে ১০০০টি গাছের চারা লাগানোর লক্ষ্য নিলেও ৭টি পর্বে এই সংখ্যা দাঁড়ায় মোট ১৯৫৬টিতে। এর মধ্যে রয়েছে ৯৮৮টি ঔষধি, ৩৮০টি বনজ এবং ৫৮৮টি ফলদ বৃক্ষের চারা। পুরো আগস্ট মাসে নোয়াখালীর বিভিন্ন জায়গায় গাছ বিতরণ ও রোপণের মাধ্যমে এই কর্মসূচি সম্পন্ন করা হয়।

দ্বিতীয় ধাপ
এই কর্মসূচির দ্বিতীয় ধাপের জন্য স্থান বেছে নেওয়া হয় ভুলুয়া কিন্ডারগার্টেন ও ভুলুয়া ডিগ্রি কলেজ। গত ১৬ আগস্ট এই দুটি প্রতিষ্ঠানের ১৩০ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে বিভিন্ন বনজ, ফলদ ও ঔষধি গাছ বিতরণ করেন বন্ধুরা। গাছ বিতরণের পূর্বে শিক্ষার্থীদের সামনে প্লাস্টিক দূষণ ও প্রতিরোধ সম্পর্কে একটি উপস্থাপনা প্রদর্শন করা হয়। উক্ত উপস্থাপনায় প্লাস্টিক দূষণে কীভাবে জলজ ও স্থলজ প্রাণিকুল ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, বাংলাদেশ এমনকি বিশ্বে এর কীরূপ প্রভাব পড়ছে এবং এর প্রতিরোধের জন্য আমরা কী করতে পারি, সে বিষয়গুলো প্রতীকী চিত্রের মাধ্যমে বোঝানো হয়।

আরও পড়ুন

যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জ্যানিসা আফরোজ বলেন, ‘একটি পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, বিশ্বে প্রতি মিনিটে ১ মিলিয়ন প্লাস্টিক বর্জ্য উৎপন্ন হচ্ছে। এর প্রায় ৭৫ শতাংশ সরাসরি পরিবেশে দূষক হিসেবে মিশছে। নিক্ষিপ্ত প্লাস্টিক বর্জ্যগুলোকে জলজ ও স্থলজ প্রাণীরা খাদ্য ভেবে খেয়ে ফেলছে; যা তাদের পরিপাকতন্ত্র ও শরীরের টিস্যু নষ্ট করে জীবননাশের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। মানুষের ওপরও এর বিরূপ প্রভাব পড়ছে। প্লাস্টিক বর্জ্যগুলো বছরের পর বছর পরিবেশে থেকে যাচ্ছে, যা বিয়োজিত হয়ে উৎপন্ন হচ্ছে বিষাক্ত মাইক্রোপ্লাস্টিক। এটি নিশ্বাসের সঙ্গে আমাদের ফুসফুস এবং রক্তে মিশে যাচ্ছে। ফলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে জন্ম দিচ্ছে নানাবিধ রোগের।’ তা ছাড়া প্লাস্টিকের দূষণরোধে করণীয় কী, তা নিয়েও আলোচনা করেন।

বৃক্ষ নিয়ে কুইজ প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের কিশোর আলো উপহার দেওয়া হয়
ছবি: বন্ধুসভা

সভাপতি মাছুম বিল্লাহ শিক্ষার্থীদের গ্রিন হাউস প্রভাবের ক্ষতিকর দিক ও গাছ লাগানোর গুরুত্ব নিয়ে সচেতন করেন। তিনি বলেন, ‘অতিরিক্ত গাছ নিধন ও দূষণের কারণে ক্ষতিকর গ্যাসের মাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে; যা আমাদের ওজোন স্তর ক্ষয় করছে এবং অতিবেগুনি রশ্মির প্রভাব সরাসরি আমাদের ওপর পড়ছে। যা ত্বকের ক্যানসারসহ নানাবিধ রোগের জন্ম দিতে পারে।’ তিনি আরও বলেন, গাছ লাগালেই হবে না, এর যথাযথ যত্ন ও পরিচর্যা করতে হবে। সুন্দর ও দূষণমুক্ত পরিবেশ চাইলেই নিজেদের গড়ে তুলতে হবে।

তৃতীয় ধাপ
একই দিনে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির তৃতীয় ধাপ সম্পন্ন করা হয় এবং স্থান নির্ধারণ করা হয় নোয়াখালী জেলার সদর উপজেলার নেওয়াজপুর ইউনিয়নের নেওয়াজপুর ইউনিয়ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং নেওয়াজপুর ইউনিয়ন বহুমুখী উচ্চবিদ্যালয়।

এই কর্মসূচিতে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক গিয়াস উদ্দিন। নোয়াখালী বন্ধুসভার উপদেষ্টা সুমন নূর, বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক জ্যোৎস্না বেগম ও জিন্নাত ফারহানা। উপস্থাপনায় ছিলেন নোয়াখালী বন্ধুসভার সহসভাপতি জাহিদ হাসান। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মোট ৬০ জন শিক্ষার্থীকে চারা গাছ বিতরণ করা হয় এবং পরিবেশ রক্ষায় বিভিন্ন সচেতনতামূলক বক্তব্য দেন অতিথিরা।

প্রধান শিক্ষক গিয়াসউদ্দিন বলেন, ‘শুধু গাছ লাগানোই আমাদের দায়িত্ব নয়, গাছের বড় হওয়া পর্যন্ত পরিচর্যা করতে হবে। আমাদের পূর্ববর্তী প্রজন্মের লাগানো যেসব গাছ আমরা আমাদের প্রয়োজনে কেটে ফেলছি, আমরাও যেন আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের জন্য ঠিক সেই পরিমাণ গাছ রোপণ করি।’

উপদেষ্টা সুমন নূর আমাদের দেশের বর্তমানে বনায়নের পরিমাণ ও কী পরিমাণ গাছ লাগাতে হবে, পরিবেশে কার্বন ডাই–অক্সাইডের পরিমাণ বৃদ্ধি ও অক্সিজেনের পরিমাণ হ্রাস, ওজন স্তরের ক্ষতি, সিএফসি গ্যাস এবং ডেঙ্গু প্রকোপ নিয়ে আলোচনা করেন। তিনি বলেন, ‘ক্লোরোফ্লোরো কার্বন নামে এমন একটি গ্যাস আছে, যা আমাদের এসি ও ফ্রিজ থেকে নির্গত হয় এবং তা ওজন স্তরের ক্ষতিসাধন করে। ফলে সূর্য থেকে আগত অতিবেগুনি রশ্মি আমাদের ত্বক ক্যানসারসহ অন্যান্য সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।’

নেওয়াজপুর ইউনিয়ন বহুমুখী উচ্চবিদ্যালয়ের কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দীপক কুমার পাল, নোয়াখালী বন্ধুসভার সভাপতি মাসুম বিল্লাহ। উপস্থাপনায় ছিলেন দুর্যোগ ও ত্রাণ সম্পাদক মো. শিমুল।

উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গাছ লাগানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন এবং শিক্ষার্থীদের বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি সফল করতে উদ্বুদ্ধ করেন। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জ্যানিসা আফরোজ কর্মসূচির প্রতিপাদ্যের বিষয়ে বক্তব্য দেন এবং কীভাবে পরিবেশ থেকে প্লাস্টিকের দূষণ কমাতে পারি, তা নিয়ে আলোচনা করেন। এই পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের সামনে বৃক্ষরোপণ ও পরিবেশদূষণ নিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে একটি ভিডিও উপস্থাপন ও কুইজের আয়োজন করা হয়। সেখানে ১৫ জন শিক্ষার্থীর হাতে কিশোর আলো এবং কলম তুলে দেন বন্ধুরা। পাশাপাশি ১০০ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে চারা গাছ বিতরণ করা হয়।

শিক্ষার্থীদের মধ্যে গাছের চারা বিতরণ
ছবি: বন্ধুসভা

চতুর্থ ধাপ
বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির চতুর্থ পর্বের জন্য স্থান নির্ধারণ করা হয় নোয়াখালী জেলখানা রোড–সংলগ্ন এলাকা। সেখানে গত ২২ আগস্ট বন্ধুসভার একজন সাবেক সদস্যের বাড়ি ও সংলগ্ন এলাকায় ৪০টি গাছ রোপণ এবং বিতরণ করেন বন্ধুরা। উপস্থিত ছিলেন উপদেষ্টা লায়লা পারভীন এবং সুমন নুর।

পঞ্চম ধাপ
নোয়াখালীজুড়ে বৃক্ষরোপণ ও প্লাস্টিক দূষণ নিয়ে সচেতনতা ছড়িয়ে দিতে পঞ্চম ধাপের জন্য স্থান নির্ধারণ করা হয় আবদুল্লাহ মিয়ার হাট উচ্চবিদ্যালয় এবং পশ্চিম চরজব্বর নেয়াজিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। গত ২৪ আগস্ট এই দুটি বিদ্যালয়ে দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে সচেতনতা, গাছ বিতরণ ও রোপণের মাধ্যমে এই ধাপ সম্পন্ন করা হয়।

আবদুল্লাহ মিয়ার হাট উচ্চবিদ্যালয়ে মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টেরের মাধ্যমে প্লাস্টিক দূষণ নিয়ে একটি উপস্থাপনা প্রদর্শন ও সচেতনতামূলক বক্তব্য দেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জ্যানিসা আফরোজ। যথারীতি কুইজেরও আয়োজন করা হয়। পুরস্কার হিসেবে তুলে দেওয়া হয় কিশোর আলো ও কলম। এ সময় ২৮০ জন শিক্ষার্থী ও বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মধ্যে ৩২০টি গাছ বিতরণ করেন বন্ধুরা এবং শিক্ষার্থীরা বন্ধুদের সঙ্গে প্রতিপাদ্য সফল করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করে।

একইভাবে পশ্চিম চরজব্বর নেয়াজিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের সচেতন নাগরিক এবং মানুষ হিসেবে গড়ে উঠে পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানানো হয়। এ সময় ১৮০ জন শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের মধ্যে ২০০টি চারা গাছ বিতরণ এবং সেখানে কিছু গাছ রোপণ করেন বন্ধুরা। উপস্থিত ছিলেন উপদেষ্টা লায়লা পারভীন, সুমন নুর এবং বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকসহ অন্য শিক্ষকেরা।

ষষ্ঠ ধাপ
বৃক্ষরোপণের ষষ্ঠ ধাপের স্থান নির্ধারণ করা হয় চর আমান উল্ল্যাহ উচ্চবিদ্যালয় এবং কাটাবুনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। বন্ধুরা বিশ্বাস করেন যে পরিবেশ রক্ষায় ও প্লাস্টিকসহ অন্য দূষণ প্রতিরোধ করতে অবশ্যই কিশোর থেকে তরুণ—সবার মধ্যেই সচেতনতা তৈরি করতে হবে। তাই এই পর্বে বন্ধুরা ছুটে যান নোয়াখালীর প্রত্যন্ত চর অঞ্চলের দুটি বিদ্যালয়ে। যেখানে গাছ লাগানোর প্রয়োজনীয়তা এবং প্লাস্টিক দূষণের নানা ক্ষতিকর দিক নিয়ে আলোচনা করা হয়। বক্তব্য দেন নোয়াখালী বন্ধুসভার উপদেষ্টা কামাল হোসেন ও সুমন নুর।

চর আমান উল্ল্যাহ উচ্চবিদ্যালয়ে বৃক্ষরোপণের প্রতিপাদ্য বিষয়ের ওপর করা হয় কুইজের আয়োজন। ১৫ জন শিক্ষার্থীর হাতে তুলে দেওয়া হয় কিশোর আলো ও কলম। এ সময় ২৫০ জন শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের মধ্যে ২৭০টি ফলদ, বনজ ও ঔষধি গাছ বিতরণ করেন বন্ধুরা।

নোয়াখালী বন্ধুসভার উপহার দেওয়া বৃক্ষ হাতে শিক্ষার্থীরা
ছবি: বন্ধুসভা

এই ধাপে কাটাবুনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২০০টি গাছ বিতরণ এবং বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে কিছু গাছ রোপণ করেন বন্ধুরা। উপদেষ্টা সুমন নুর শিক্ষার্থীদের নিজ উদ্যোগে গাছ লাগানো ও পরিচর্যা করার আহ্বান জানান। এ ছাড়া বক্তব্য দেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, উপদেষ্টা লায়লা পারভীন এবং কামাল হোসেন।

শেষ ধাপ
গত ৩০ আগস্ট বৃক্ষরোপণের শেষ এবং সপ্তম ধাপ অনুষ্ঠিত হয় নোয়াখালী উচ্চবিদ্যালয়ে। উপস্থিত ছিলেন বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. ফরিদ মিঞা, প্রথম আলোর নোয়াখালীর নিজস্ব প্রতিবেদক মাহবুবুর রহমান, ওই বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক কামরুন নাহার, বন্ধুসভার উপদেষ্টা লায়লা পারভীন, মাহফুজের রহমান ও সুমন নুর।

বিভাগীয় বন কর্মকর্তা বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি নিয়ে তাঁর বক্তব্যে শিক্ষার্থীদের বলেন, ‘নিজেদের প্রয়োজনে আমরা গাছ কাটছি; কিন্তু সমপরিমাণ গাছ আমরা লাগাচ্ছি না। বাংলাদেশ ছোট এবং জনবহুল একটি দেশ। সেই তুলনায় বনভূমির পরিমাণ নিতান্তই কম। বনভূমি একটি দেশের সম্পদ। আমাদের উচিত গাছ রোপণের মাধ্যমে দেশের সম্পদ রক্ষায় সোচ্চার হওয়া।’ এ ছাড়া গাছ রোপণের ফলে আমরা প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় ভূমিকা রাখতে পারি বলেও শিক্ষার্থীদের জানান তিনি। আরও বক্তব্য দেন বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক এবং উপদেষ্টাগণ।

তা ছাড়া সেখানে প্লাস্টিক নিয়ে সচেতনতার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের মধ্যে বৈশ্বিক উষ্ণায়ণ ও দূষণ নিয়ে কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। কর্মসূচির শেষ পর্যায়ে কুইজ বিজয়ীদের মধ্যে অতিথিরা পুরস্কার তুলে দেন। পাশাপাশি ৩৬০ জন শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের মধ্যে ৩৯০টি গাছের চারা তুলে দেন।

কর্মসূচির শেষ পর্ব সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক আসিফ আহমেদ এবং সমাপনী বক্তব্য দেন সভাপতি মাছুম বিল্লাহ।

আনুষ্ঠানিকভাবে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির সমাপ্তি ঘোষণা করলেও নোয়াখালী বন্ধুসভার বন্ধুরা এই কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার প্রতিজ্ঞা করেন। তাঁরা বলেন, এই সমাজ, দেশ ও বিশ্ব আমাদের। পরিবেশ, বনভূমি এবং জীববৈচিত্র্য রক্ষার দায়িত্ব আমাদের ওপরই বর্তায়। তাই এটি পালনে সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাব। এ সময় বন্ধুসভার বন্ধুদের মধ্যেও ৪৬টি গাছ বিতরণ করা হয়।

পুরো কর্মসূচিতে আলোকচিত্র ও প্রামাণ্যচিত্র ধারণ করেন পাঠাগার ও পাঠচক্র সম্পাদক তাজকির হোসেন। এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন দুর্যোগ ও ত্রাণ সম্পাদক মো. শিমুল, সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুজ্জামান রাকিব, অর্থ সম্পাদক উম্মে ফারহীন, মুক্তিযুদ্ধ ও গবেষণা সম্পাদক আফরিনা আনিকা, বন্ধু মেহেরাজ ফয়সাল, তাহসিন রহমান, নাহিদা ইতু, নাফিস, আরাফাত শিহাব, সানি তামজিদসহ অন্য বন্ধুরা।

যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, নোয়াখালী বন্ধুসভা