স্বেচ্ছাসেবী হওয়ার সুফল

২০১৩ সালের ২০ ও ২১ ফেব্রুয়ারি গাজীপুরের মৌচাকে স্কাউট মাঠে অনুষ্ঠিত হয় ২য় জাতীয় বন্ধু সমাবেশ। ওই সমাবেশের আলোকচিত্রী নিয়ে, ফিরে দেখা ২য় জাতীয় বন্ধু সমাবেশ ‘আমরা জেগে আছি’।

বর্তমান সময়ে বেশির ভাগ শিক্ষার্থী স্নাতক শেষ করেই চাকরি করবেন এই আশায় বুক বেঁধে থাকেন। এরই সঙ্গে চলে সরকারি চাকরির জন্য অবিরাম প্রস্তুতি। তবে সরকারি চাকরি ভাগ্যে জোটে না বেশির ভাগ চাকরিপ্রার্থীর। তখন অনেকেই বেসরকরি বিভিন্ন সংস্থা অথবা কোম্পানিতে নির্বাহী পদে যোগদান করে থাকেন। তবে, বর্তমানে বেকারত্বের সংখ্যার তালিকা দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হওয়ায় বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে যোগদানের ক্ষেত্রে তুমুল প্রতিযোগিতার সম্মুখীন হতে হয়। এই প্রতিযোগিতার দৌড়ে টিকে থাকার লড়াইয়ে চাকরিপ্রার্থীর শিক্ষাজীবনের ফলাফলের পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে সহশিক্ষা কার্যক্রম। কারণ, চাকরিদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো চাকরিপ্রার্থীর মেধার পাশাপাশি শিক্ষাজীবনে সামাজিক, সাংস্কৃতিক অথবা স্বেচ্ছাসেবী কাজে জড়িত থাকার বিষয়টিকে বেশি প্রাধান্য দিয়ে থাকে। যাঁরা ছাত্রজীবনে স্বেচ্ছাসেবী বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে জড়িত থাকেন, তাঁরা চাকরিক্ষেত্রে এগিয়ে থাকেন বিভিন্ন দিক দিয়ে। যেমন: যোগাযোগ দক্ষতা ভালো থাকে, উপস্থাপনা কৌশল জানা থাকে, টিমওয়ার্ক করার অভিজ্ঞতা থাকে। সবকিছু মিলিয়ে চাকরিদাতা প্রতিষ্ঠান একজন কর্মীর কাছ থেকে যে বাড়তি যোগ্যতাগুলো আশা করে, তা বেশির ভাগই স্বেচ্ছাসেবী তরুণদের মধ্যে বিদ্যমান থাকে।

স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনে একজন তরুণ নিজেকে বিকাশের সুযোগ পান। এখানে নেতৃত্বের গুণাবলির চর্চা হয়, পাশাপাশি শেখানো হয় লেখালেখির কৌশল, সাংস্কৃতিক আড্ডা, উপস্থাপনার কৌশল ইত্যাদি। তাই বর্তমানে চাকরির বাজারে নিজেকে দক্ষ কর্মী হিসেবে প্রমাণ করতে চাইলে অবশ্যই ছাত্রজীবনে কোনো না কোনো স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত হয়ে নিজেকে এগিয়ে রাখতে হবে সবার চেয়ে।

সভাপতি, ময়মনসিংহ বন্ধুসভা