লালশাকের উপকারিতা

লালশাক।
লালশাক।


লালশাক সহজলভ্য একটি শাক। আমাদের দেশে সারা বছর, প্রায় সব মৌসুমেই এই শাক পাওয়া যায়। পৃথিবীর প্রায় সব দেশেই লালশাক জন্মায়। আমাদের দেশের অতি পরিচিত শাকগুলোর মধ্যে লালশাক রক্ত তৈরি করে সবচেয়ে বেশি। এই শাকে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা অনেক বেশি।

হিমোগ্লোবিন রক্ত তৈরিতে সাহায্য করে। বাড়ন্ত শিশু, গর্ভাবস্থায় ও যেকোনো জটিল অপারেশনের পরে দেহে রক্তের প্রয়োজনীয়তা বেড়ে যায়। তখন এই ধরনের খাবার বয়ে আনে সুফল। লালশাক এমনই একটি শাক, যা দেহে রক্তের মাত্রা বাড়ায়। বাড়ন্ত শিশুদের দেহের প্রায় প্রতিটি অঙ্গের বৃদ্ধি ও পুষ্টির জন্য আয়রন, আয়োডিনের চাহিদা বেড়ে যায়। লালশাকের হিমোগ্লোবিন সেই চাহিদা পূরণ করে।

গর্ভাবস্থার মাঝামাঝি থেকে শিশুর পুষ্টির জন্য আয়রন, ক্যালসিয়ামসহ বিভিন্ন ধরনের পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবার দরকার হয়। গর্ভাবস্থায় প্রত্যেকের জন্য লালশাক খুব উপকারী। তবে গর্ভাবস্থায় সবাই শাক হজম করতে পারেন না। শুরু থেকেই যাঁরা অ্যাসিডিটি বা বমির সমস্যায় বেশি ভোগেন, তাঁরা অতিরিক্ত তৈলাক্ত খাবার, শাক, ফাস্ট ফুড যতটা পারেন বাদ দেবেন।

বড় কোনো অপারেশনের পরে, ৪০ বছরের পরে দেহে রক্তের ঘাটতি দেখা দিতে পারে। পুরুষের তুলনায় নারীদের হাড়ক্ষয় হয় দ্রুত। এই ক্ষয় রোধের জন্য আয়রন, আয়োডিন–জাতীয় খাবার খাওয়া উচিত। লালশাক এই সমস্যাগুলোর জন্য উপযুক্ত খাবার। অ্যানিমিয়া, অর্থাৎ রক্তশূন্যতা, মাতৃদুগ্ধদানকারী নারী, খেলোয়াড়, নৃত্যশিল্পী, যাঁরা নিয়মিত দৈহিক পরিশ্রম বা ব্যায়াম বেশি করেন, এই ধরনের মানুষের জন্য লালশাক উপযুক্ত একটি শাক।
লালশাক খুব দ্রুত নষ্ট হয়ে যায়। তাই ফ্রিজে সংরক্ষণের পরিবর্তে যত দ্রুত রান্না করে খাওয়া যায়, ততই ভালো। যাঁদের বদহজমের সমস্যা থাকে, তাঁরা শাক খাবেন না।