মার্জারাসন

মার্জার মানে বিড়াল, বিড়ালের নাম অনুসারে এই আসনের নাম রাখা হয়েছে মার্জারাসন।

প্রণালি
১. প্রথমে বজ্রাসনে বসুন। (বজ্রাসন গত সংখ্যায় দেখানো হয়েছে)।
২. এবার দুই হাঁটু কাঁধ বরাবর দূরত্বে রাখুন। দুই হাতের তালু এক হাত পরিমাণ দূরে রাখুন।

মার্জারাসন
মার্জারাসন


৩. হাত ও পা যেন সোজা ৯০ ডিগ্রি লম্বা থাকে।
৪. শ্বাস নিতে নিতে মাথা ওপরে ও বুক ফুলিয়ে দিন।
৫. শ্বাস ছাড়তে ছাড়তে মাথা নিচে ও পিঠ ওপরে উঠবে (কুঁজো হলে যে রকমটা দেখায়)।

মার্জারাসন
মার্জারাসন


৬. আবার শ্বাস নিতে নিতে আগের অবস্থায় ও শ্বাস ছাড়তে ছাড়তে এ অবস্থায়।
৭. এভাবে কমপক্ষে ৪০-৬০ সেকেন্ড করা উচিত। ধীরে ধীরে সময় বাড়াতে থাকুন। 

উপকারিতা
মেয়েলি বিভিন্ন সমস্যায় মার্জারাসন অতুলনীয় কাজ করে, এ ছাড়া কোমরব্যথা, পিঠব্যথা, পিঠ ও পেটের অতিরিক্ত চর্বি কমাতে, থাইরয়েড, পাইলস, হজমশক্তি বৃদ্ধি, দুর্বলতা, দুশ্চিন্তা ও মানসিক শান্তির জন্য মার্জারাসন খুবই উপকারী।

সাবধানতা
১. সার্ভিক্যাল স্পন্ডিলোসিস বা ঘাড়ে ব্যথা থাকলে মাথা নিচে বা থুতনিতে লাগানো যাবে না, তবে মাথা সোজা রাখা যাবে।
২. হাঁটুব্যথা থাকলে হাঁটুর নিচে নরম কিছু দিয়ে করা যাবে।

গবেষক, প্রশিক্ষক (ইয়োগা), প্রতিষ্ঠাতা, জয়সান ইয়োগা অ্যান্ড ওয়েলনেস সেন্টার।