ভোরকুড়ানো মেয়ে

হাতের মুঠোয় ভোর খোলে না স্নিগ্ধ রাতের দোর
পুকুর জলে চোখ খোলে না মুন্সিবাড়ির ভোর
মিনার সুরে কেউ জাগে না চোখের তলায় ঘুম
নাক ডেকে যায় আরাম সুখে পাই না রোদের চুম।
হাঁটলে ভোরে শিরায় শিরায় রক্তে পড়ে টান
অচল শরীর নদীর মতো পায় ফিরে তার প্রাণ
শিশির ছুঁয়ে পা দুখানি হাঁটলে ঘাসের পর
মনের ভেতর চমকে ওঠে অস্থিমজ্জা ঘর।
ভোরের নীলে আঁকে আকাশ শুভ্র কাশফুল
গাছের ডালে জাগে রবি রোদরঙা লাল ফুল
মিষ্টি ভোরের স্নিগ্ধ পরশ কেউ খুঁজি না আর
দোয়েল ভোরে শিস বাতাসে কিসের সমাহার?
ক্লান্ত চোখে রাতবিছানায় সবাই যখন চুপ
নারকেলবনে বাতাস বহে কী যে অপরূপ
সফরিতলায় ঝরে পড়ে বকুল রাতের শিষ
ভোরকুড়ানো সেই মেয়েকে আর দেখি না ইশ্।

কবি ও লেখক