প্রত্যন্ত অঞ্চলে ত্রাণ পৌঁছে দিচ্ছে সিলেট বন্ধুসভা

ত্রাণ পেয়ে খুশি দুই শিশুছবি: বন্ধুসভা

পুরো গ্রাম তলিয়ে গেছে বানের জলে। ঘরবাড়ি, ভিটেমাটি সবই পানির দখলে। হুট করেই পানি এতটা বেড়ে যাবে, তা কল্পনায়ও ছিল না কারও। পানি ক্রমাগত বেড়ে যাওয়ায় খাবার, প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে বের হওয়া সম্ভব হয়নি। পরিবারের সদ্যসদের নিয়ে খালি হাতেই আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন প্রায় ৯৫ শতাংশ মানুষ।

প্রথম দফা বন্যায় প্রথম আলো ট্রাস্ট উদ্যোগে অনুদান পাঠানো হয় সিলেটে। সেই অনুদান সিলেট বন্ধুসভার বন্ধুরা পৌঁছে দেন সীমান্তবর্তী উপজেলাসহ সর্বত্র। ১৭ জুন হঠাৎ দ্বিতীয় দফা বন্যা দেখা দেয়। এবার আরও ভয়াবহ। সীমান্ত ছাড়িয়ে পুরো সিলেট বিভাগসহ ছড়িয়ে গেছে বাংলাদেশের কয়েকটি অঞ্চলে। পানিতে ভেসে গেছে সব। শুকনো খাবার খেয়ে কোনোরকমে দিন অতিবাহিত করছে মানুষ।
২৪ জুন অনুদান নিয়ে সিলেট বন্ধুসভার বন্ধুরা হাজির হন লামারগাঁও গ্রামে। সেখানে একটি দোতলা বিল্ডিংয়ে আশ্রয় নিয়েছে দুই শতাধিক পরিবার। সেসব মানুষের কাছে পৌঁছায়নি কোনো ত্রাণ সহযোগিতা। এদিন প্রতিটি পরিবারকে খাদ্যের প্যাকেট দেওয়া হয়। প্রতিটি প্যাকেটে ছিল ৫ কেজি চাল, ১ কেজি মসুর ডাল, ১ লিটার সয়াবিন তেল, ১ কেজি আটা, ১ কেজি লবণ, ১০০ গ্রাম গুঁড়া মরিচ ও ১০০ গ্রাম গুঁড়া হলুদ। ত্রাণের প্যাকেট হাতে পেয়ে আনন্দে আত্মহারা হয়েছে অসহায় মানুষেরা।

নৌকায় ত্রাণ তুলছেন সায়মন চৌধুরী
ছবি: বন্ধুসভা

একইদিন কেরানীগঞ্জ বন্ধুসভার পক্ষ থেকে সায়মন চৌধুরীর নেতৃত্বে বানভাসীদের মধ্যে স্যানিটারি ন্যাপকিন ও খাবার স্যালাইন বিতরণ করা হয়েছে।

লেখা: সভাপতি, প্রথম আলো বন্ধুসভা, সিলেট