ধন্যবাদ মাইলস্টোনের বন্ধুদের

মাইলস্টোন কলেজ বন্ধুসভা
মাইলস্টোন কলেজ বন্ধুসভা


১৩ সেপ্টেম্বর রাতে খবর এল মাইলস্টোন কলেজে নতুন বন্ধুসভার যাত্রা শুরু হবে। শনিবার সকালে কমিটি ঘোষণা করবেন বন্ধুসভা জাতীয় পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি সাইদুজ্জামান রওশন। খবরটি জানালেন মহানগর বন্ধুসভার সাংগঠনিক সম্পাদক ফিরোজ আলম। সঙ্গে আমিও যেতে চাইলাম।

মাইলস্টোন কলেজ বন্ধুসভা
মাইলস্টোন কলেজ বন্ধুসভা


শনিবার সকাল ছয়টার দিকে ফিরোজ আলমের ফোনকলে ঘুম ভাঙল। মোহাম্মদপুর জাপান গার্ডেন সিটিতে রওশন ভাইয়ের বাসায় যেতে বললেন। সেখান থেকে মাইলস্টোনের উদ্দেশে রওনা দেওয়ার কথা জানালেন। সকাল সাতটা থেকে মোহাম্মদপুর জাপান গার্ডেন সিটিতে আমরা গাড়ির অপেক্ষায় ছিলাম। উবার-পাঠাওয়ের কোনো গাড়ি না পেয়ে অনেকটা হতাশ। বেশ কিছুক্ষণ প্রতীক্ষার পর একটি গাড়ির দেখা মিলল। আমি, দন্ত্যস রওশন ভাই ও ফিরোজ আলম রওনা দিলাম মাইলস্টোনের উদ্দেশে। জ্যাম না থাকায় অল্পক্ষণেই পৌঁছে গেলাম উত্তরা মাইলস্টোনের প্রধান ক্যাম্পাসে।

সকাল সাড়ে আটটায় আমরা মাইলস্টোনে পৌঁছাই। আমাদের সাদরে গ্রহণ করেন স্কুলের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। শুভেচ্ছা বিনিময় হলো উপাধ্যক্ষ মিজানুর রহমান খানের সঙ্গে। আমাদের জন্য আগেই প্রস্তুত ছিল সকালের নাশতা।
সকাল নয়টায় যথাসময়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। অডিটোরিয়ামে সাড়ে ৩০০ শিক্ষার্থী। অথচ কোনো শব্দ নেই! আমরা বেশ কৌতূহল নিয়ে জিজ্ঞেস করলাম, সবাই চুপ কেন? কলেজের উপাধ্যক্ষ বললেন, সিসি ক্যামেরায় সবাইকে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। তাই শৃঙ্খলার সঙ্গে বসে আছে। শুনলাম, মাইলস্টোনে নাকি সবাই শৃঙ্খলার সঙ্গে সবকিছু করে।

দুই ঘণ্টার অনুষ্ঠানে উপাধ্যক্ষের কথার প্রমাণ পেলাম। অনুষ্ঠানে বক্তৃতা হলো, গান হলো, আমি ২০ সেকেন্ডে ৬৪ জেলার নাম বললাম, সঙ্গে আড়াই মিনিটে বললাম ৪০০ নারীর নাম। সবাই উপভোগ করল। দীর্ঘ বক্তৃতার মধ্যে আমার দৃষ্টিতে কেউই বিরক্ত অনুভব করেনি। বিশেষ করে রওশন ভাইয়ের উৎসাহ-উদ্দীপনামূলক বক্তব্যকে অনেকেই জীবনের সঙ্গে গেঁথে নিয়েছেন।