অগ্রহায়ণের এক বিকেলে

অগ্রহায়ণের এক বিকেলে চট্টগ্রামসভা
অগ্রহায়ণের এক বিকেলে চট্টগ্রামসভা


পৃথিবীর অনন্য ব্যতিক্রমী বৈশিষ্ট্য ধারণকারী আমাদের এই ষড়ঋতুর বাংলাদেশ। দিনপঞ্জি ঘুরে ঘুরে চলে প্রকৃতির এই ছয় রূপ। ষড়ঋতুর চতুর্থ ঋতু হচ্ছে হেমন্ত, যা বাংলার কার্তিক ও অগ্রহায়ণ মাস নিয়ে। শুক্রবার বিকেল চারটায় চট্টগ্রাম বন্ধুসভার কক্ষে বসে প্রকৃতির অনন্য রূপধারী হেমন্ত নিয়ে ‘আজি এ হেমন্ত’ নামক আড্ডা।

অন্যান্য ঋতুর মতো হেমন্ত আসে তার ভিন্ন রূপ নিয়ে, দিয়ে যায় শীতের আগমনী বার্তা, হেমন্তের এই আড্ডায় বন্ধুরা রোমন্থন করছিলেন তাঁদের বিভিন্ন স্মৃতি। বন্ধু সোহেল বললেন, হেমন্ত এলেই শহর ছেড়ে গ্রামে নানুবাড়িতে যাওয়া তাঁর এক অলিখিত নিয়ম ছিল। নানুবাড়ির উঠোনে জমানো ধানের আঁটির ফাঁকে ফাঁকে জ্যোৎস্নারাতে লুকোচুরি খেলা, সবাই মিলে মাড়াইয়ের জন্য বিছানো ধানের ওপর মাঝরাত অব্দি রাজা–রানির গল্প শোনা। তাঁর আড্ডায় যোগ করলেন বন্ধু অনিকও। শোনালেন রাতের বেলায় জমি থেকে চুরি করে পাকা ধান এনে খড়ের আগুনে খই ফোটানোর কথা। আড্ডার মাঝখানে জিয়াদ বললেন খানিক আক্ষেপের কথা। মনুষ্যসৃষ্ট কলকারখানার অতিরিক্ত কার্বন নিঃসরণে জলবায়ুর পরিবর্তনের কারণে বর্তমানে প্রকৃত হেমন্তের রূপ খুঁজে ফেরা কিছুটা কষ্টের, নগরজীবনে হেমন্ত নেই বললেই চলে! ঐশ্বর্য্য বললেন, এই আড্ডায় আসার পথে দেখেন রাস্তার পাশের পাহাড়ে হেমন্তের ঝরাপাতায় আগুন ধরিয়ে পরিবেশ নষ্ট করা হচ্ছে।

স্মৃতি ও আক্ষেপের আড্ডা শেষ হয় প্রসেনজিতের স্বরচিত কবিতা আবৃত্তির মধ্য দিয়ে। মাসুদ রানার সঞ্চালনায় ওই আড্ডায় ছিলেন সায়েদা, তাশফিকসহ অনেকে।

প্রচার সম্পাদক, চট্টগ্রাম বন্ধুসভা।