শেকৃবি বন্ধুসভার ভার্চ্যুয়াল পাঠচক্রে আবু ইসহাকের মহাপ্রতঙ্গ

শেকৃবি বন্ধুসভার ভার্চ্যুয়াল পাঠচক্রে আবু ইসহাকের মহাপ্রতঙ্গ।
ছবি: সংগৃহীত

শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (শেকৃবি) বন্ধুসভার বছরের প্রথম ভার্চ্যুয়াল পাঠচক্র অনুষ্ঠিত হয়েছে। ১৬ জুন বুধবার এই পাঠচক্র অনুষ্ঠিত হয়। পাঠচক্রের জন্য নির্ধারিত পাঠ ছিল আবু ইসহাকের রচিত গল্প ‘মহাপতঙ্গ’।

‘মহাপ্রতঙ্গ’ আবু ইসহাকের অসাধারণ একটি গল্প। গল্পটি প্রকাশিত হয় ১৯৬৩ সালে৷ যখন ভিয়েতনাম যুদ্ধ চলমান এবং যা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ হতে দুই দশক পরে। গল্পে এক জোড়া চড়ুইয়ের বয়ানেই লেখক সমালোচনা করেছেন পুরো মানবজাতির। পাঠচক্রে উপস্থিত বন্ধুরা খুবই চমৎকারভাবে বইয়ের আলোচনায় এসব বিষয় ফুটিয়ে তোলেন।

বই নিয়ে আলোচনা করেছেন জিনিয়া রহমান ঐশি, গোলাম মোরশেদ, সাইফুল ইসলাম ও মো. জুলফিকার আলী।

জিনিয়া রহমান ঐশি বলেন, ‘যুদ্ধ কখনোই শান্তি নিয়ে আসতে পারে না৷ “মহাপতঙ্গ” যুদ্ধের বিরুদ্ধে লেখক আবু ইসহাকের নীরব প্রতিবাদ।’

শেকৃবি বন্ধুসভার ভার্চ্যুয়াল পাঠচক্রে আবু ইসহাকের মহাপ্রতঙ্গ
ছবি: সংগৃহীত

আলোচনায় অংশ নিয়ে গোলাম মোরশেদ বলেন, ‘গল্পটি রচিত হয়েছে যুদ্ধকবলিত একটি সময়ে, যার কারণে লেখকের মনে আকাশযুদ্ধের কালো মেঘের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ লেখনির মাধ্যমে ফুটে উঠেছে৷’

মো. জুলফিকার আলী বলেন, ‘আবু ইসহাকের লেখা সব সময়ই মানবতা ও সাম্যের কথা বলে। “মহাপতঙ্গ” গল্পে তিনি একটি চড়ুই পরিবারের দৃষ্টিতে মানুষ ও যুদ্ধের ভয়াবহতা তুলে ধরেছেন।’

ভার্চ্যুয়াল এই পাঠচক্রে শেকৃবি বন্ধুসভার সদস্যদের পাশাপাশি সাহিত্য অনুরাগী আরও অনেক বন্ধু অংশগ্রহণ করেন।