শহর আমার ভাল্লাগে না

শহরে মানুষের চলাচল বেড়েছে।ছবি: সোয়েল রানা

এই শহরের অলিগলি বড্ড রকম ঝুটঝামেলা
ভাল্লাগে না ধুত্তুরি ছাই, যায় না কোথাও দু–পা ফেলা।
আব্বু তুমি আনলে কোথায়? মেঠো পথের দূর্বা ছেড়ে,
দেখছ নাকি! ফাজিল গাড়ি বাঘের মতো আসছে তেড়ে।

চতুর্দিকে প্যাঁপু, ভ্যাঁভু, কী বিচ্ছিরি শব্দগুলো
যেদিকে তাকাই সেদিকে দেখি, আকাশ–বাতাস ধুলো ধুলো।
এই শহরের খাবারদাবার ফরমালিনে বেজায় ভরা,
ঢাকা নামের খোলা শহর মানুষগুলো কত্ত কড়া!

উঁচু উঁচু দালানগুলো হাঁ করে দেখছেটা কী?
আব্বু আমার ভয় করে খুব ভেঙেচুরে পড়বে না তো!
খামখেয়ালি পছন্দ না চলো আমরা গ্রামে পালাই
সে কী কথা! আর বলো না! শহর ছেড়ে বিদ্যা কে পায়?

দামি স্কুলে পড়লে তুমি
দামি দামি ডিগ্রি পাবে!
পায়ের ওপর পা–টা তুলে
কোরমা-পোলাও চিংড়ি খাবে!
আহা আহা কী মজা না!
এসব তোমার সব অজানা।

তুমি যখন গাঁয়ে ছিলে তোমার ছিল এমন দশা!
দাদুর হাতে ঠাস ঠাসা ঠাস, খেয়ে তোমার কান কি ঠসা?
শহর মানে বাধানিষেধ, এ করবা না তা করবা না
আমার সঙ্গে এমন কেন? বাবা–মায়ের তালবাহানা।

পিন বুরুশে আটকানো কি থাকতে পারে আমার জীবন
আঁধার কেটে সকাল হবে আসবে কখন তুখোড় কিরণ?
হতচ্ছাড়া শহরটাকে ফাঁকি দিয়ে যাবই ফেলে
গ্রামের ছেলে ফিরব গ্রামে একটুখানি সুযোগ পেলে।