আলোকিত ঘুম চুমু দিয়ে যায় চোখের পাতায়। মাঝে মাঝে ভাবি যদি সূর্য হতাম। সারা দিন আমার আলোয় দেখে রাখতাম। ভোরের আলোয় কতটা পুলক ছড়াও তুমি। তা তুমি জানো না। স্বর্গের নিষ্পাপ ছড়িয়ে পড়ে সুরভি বাতাসে।
মাঝে মাঝে ভাবি যদি চাঁদ হতাম। সারা রাত নরম চাদরে আদর করে রাখতাম। বাম পাঁজরে দোয়েলের মতো ঠোঁট ঘষতাম। তোমার চোখের পাতা যেন উপুড় হয়ে পড়ে থাকা দুটো মসৃণ ঝিনুক। যার মাঝে লুকিয়ে আছে উজ্জ্বল মুক্তা।
মাঝে মাঝে ভাবি যদি বই হতাম। বেণি দোলানো বুকে চেপে প্রতিদিন স্কুল যেতে পারতাম। ষোড়শী স্কুলড্রেসের ঘ্রাণ নিতে পারতাম। আমার প্রতিটি অক্ষর তুমি পড়তে খুব মনোযোগ দিয়ে। মুখস্থ হয়ে আজীবন থেকে যেতাম মগজে।
মাঝে মাঝে ভাবি যদি শিশির হতাম। কুয়াশাভেজা সকালে সুঁই দিয়ে একটার পর একটা শিশির গেঁথে পায়ে নূপুর পরাতে পারতাম। পারতাম দূর্বাঘাসের ডগা থেকে এক ফোঁটা কর্জ নিয়ে কপালে টিপ পরাতে। ঝলমল করত সমস্ত পৃথিবী।
মাঝে মাঝে ভাবি যদি জোনাকি হতাম। সৌরজগতের মতো প্যাঁচানো খোঁপায় রাত্রির আকাশে নক্ষত্র ফোটাতাম। মিটিমিটি আলোয় পথ চিনে চিনে আমি ঠিক তোমার হৃদয় অলিন্দে পৌঁছে যেতাম। বলতাম আমি তোমায় ভালোবাসি।