বোকা প্রেমিক

প্রতীকী ছবি
অলংকরণ: মাসুক হেলাল

তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি কোচিং করছিলাম। সব ঠিকঠাক চলছিল। কিছুদিন ক্লাস করার পর একটি মেয়েকে ভালো লাগতে শুরু করে।

ক্লাসের ফাঁকে চুপ করে তাকিয়ে থাকতাম মেয়েটির দিকে। মাঝেমধ্যে মেয়েটাও আমার দিকে তাকাত। আবার যদি কখনো দুজনের একই সঙ্গে চোখে চোখ পড়ত, দুজনেই দ্রুত চোখ সরিয়ে নিতাম।

একই ব্যাচে পড়লেও কোনো দিন কথা হয়নি আমাদের। তাই প্রতিদিন ক্লাসে শুধু চোখাচোখিতেই সীমাবদ্ধ ছিলাম।

এভাবেই দিন যাচ্ছিল। আমিও ঠিকঠাক পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছিলাম।

একসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা কাছাকাছি চলে এল। কোচিং বন্ধ হয়ে গেল। শেষ দিনের ক্লাস শেষ করে যখন বের হয়ে এলাম, তখন মেইন রোড পর্যন্ত আমার পাশেই হাঁটছিল মেয়েটি। কিছু বলতে গিয়েও পারিনি।

বিষণ্ন মনে ফিরে এলাম। আর কোনো দিন দেখা হবে না আমাদের। নেই কোনো যোগাযোগমাধ্যম। এভাবেই দিন কেটে যাচ্ছে।

সেদিন জাহাঙ্গীরনগরে ভর্তি পরীক্ষা। হলের বাইরে লাইন ধরে দাঁড়িয়ে আছি। পাশের লাইনে তাকাতেই দেখি সেই মেয়েটি দাঁড়িয়ে। দুজনেই একসঙ্গে বলে উঠলাম, ‘কেমন আছো?’ তারপর টুকটাক কথা চলছিল।

অতঃপর পরীক্ষা শেষ করে দুজনে বাইরে এলাম। কী বলব বুঝতে পারছিলাম না। হুট করেই ফোন নম্বর চেয়ে বসলাম। সেও অমত করল না।

ফাইলে শুধু রেজিস্ট্রেশন আর অ্যাডমিট কার্ড থাকায় নম্বর কোথায় লিখে নেব বুঝতে না পেরে হতভম্ব হয়ে যাচ্ছিলাম। তখনই হাতে কলম নিয়ে সে বলে উঠল, ‘সারা জীবন কি বোকাই থেকে যাবে? হাতটা বাড়িয়ে দাও, লিখে দিচ্ছি।’

তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পাদক, কুড়িগ্রাম বন্ধুসভা