বিদায় সংবর্ধনা

অলংকরণ: সব্যসাচী মিস্ত্রী

বিরহ, ব্যথা, বেদনাবিধুর—এসবের সঙ্গে
বিদায়ের আছে যথেষ্ট মিল,
কারও বিদায়ের কথা কানে এলে
তাই ভারাক্রান্ত হয় এই দিল।

বিদায়ের আছে নানা শ্রেণিভেদ
পাঠ্যক্রম থেকে বিদায়, বিদেশ ভ্রমণে বিদায়, বধূ বিদায়,
বদলিজনিত বিদায়, অবসরজনিত বিদায়,
আবার কারোর–বা চিরবিদায়।
জাগতিক নিয়মের এই বিদায়বেলায় আমরা কেউ হই ব্যথিত,
আবার কেউ হই উচ্ছ্বসিত।

ছোটবেলায় বোনের বিয়েতে খুব আনন্দ–হইচই,
বিদায়বেলায় সবার চোখে জল দেখে ভাবি,
বিয়ে তো আনন্দের, সেখানে কেন বেদনাশ্রু?

বিদায়ের প্রথম স্বাদ পাই এসএসসি পরীক্ষার আগে।
যেদিন হেডস্যার হাতে মিষ্টি তুলে দিয়ে বিদায় দিয়েছিলেন।
সেদিন আমার মতো অনেকের চোখে ছিল জল।
তারপর অনেক বিদায়ের অনুষ্ঠান দেখেছি।
কারও বিদায়বেলায় আমরা আবেগ–অনুভূতি প্রকাশ করি, তাঁর গুণগুলো নিয়ে আলোচনা করি।
বাস্তবতা হলো, সবাইকেই একদিন বিদায় নিতে হবে, সেটা আমরা চাই বা না চাই।
জীবন এবং কর্ম তখনই সার্থক যদি—
বিদায় নিজের জন্য হয় আনন্দের, আর সবার জন্য হয় বেদনার,
তাহলেই আমাদের কর্ম এবং জীবন সার্থক।

যাত্রাবাড়ী, ঢাকা।