বসন্তের শেষ চিঠি

প্রতীকী ছবি
বন্ধুসভা

আরও একটি বসন্ত গেল আমাদের

খুব নীরবে নিভৃতে কেটে গেল এ বসন্ত।

খুব গোপনে সন্তর্পণে ফাগুন মিশেছে চৈত্রে

আমাকে যেন বুঝতেই দেয়নি তুমিহীন একাকিত্ব।

হয়তো ভেবেছে কষ্ট পাব।

কিন্তু কতটা কষ্ট বুকে লুকিয়ে

এ বসন্ত হয়েছে কতটা সীমাহীন প্রান্তর

হয়েছে কেমন এলোমেলো—ধূসর গোধূলি

কেটেছে কত বেলা দীর্ঘশ্বাসে—

তা যদি কেউ জানত!

কেবল তুমি জানতে, এ বসন্ত আমার কাছে কত দামি!

এই বসন্তেই যে তোমায় প্রথম পেয়েছিলাম আমি।

হারিয়েছিলাম নিজেকে, হেরেছিলে তুমি—

ছুটেছিলাম দুজনে নিরুদ্দেশপানে।

একদিন হঠাৎ থেমে,

তুমি আমাকে থামিয়ে গেছ;

তবু তো সময় থেমে থাকেনি।

ধূ ধূ রোদ্দুর আর এক পা পেরুলে

আজ চৈত্র মিশে যাবে বোশেখে।

পাখিদের কলতান, ফুলেদের সুঘ্রাণ

সকলি এর আয়োজনে তাই দারুণ ব্যস্ত।

কৃষ্ণচূড়া আর পলাশ দিয়ে আমিও আজ

লিখেছি একখানা চিঠি—আকাশে কান পেতে শুনে

মাটি-ঘাসের বর্ণব্যঞ্জনায় লিখেছি বসন্তের শেষ চিঠি।

কোথায় আছ, কেমন আছ—চিঠি দিও।

একটুখানি ধৈর্য দিয়ো, ভুলে থাকার মন্ত্র দিয়ো।

লিখে দিয়ো গোপন কিছু—যা কিছু অপ্রকাশিত,

যা কিছু আমাকে লুকিয়ে—লুকিয়েছ নিজেকেও।

এই যে চিঠি! আমার চিঠি তো তোমার প্রতি—

বসন্তের শেষ চিঠি তোমায় দিলাম।

শিক্ষার্থী, ইংরেজি বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়