আমার চেতনার পাখি মিশে আছে ভোরের বাতাসে।
কী অমায়িক মলিন সুবাস
স্নিগ্ধ বাংলার ভোরের বাতাস,
গায়ে লেগেছে সেই কবে,
তখন কত অজানা স্বপ্ন এসে ধরা দিত হৃদয়ে,
বিষাক্ত রূপে দেখা যায় আজকাল
প্রত্যহ কত স্বপ্ন খুন হয়, চুরি হয়
কী অমানবিক রূপে!
কখনো মানুষকে দেখা যায়
দলাদলির ভিড়ে সত্যকে মিথ্যা বলে
নিজস্বতাকে অশুদ্ধ করতে।
ঘৃণা শত বৎসর তাদের
যারা কালো চশমা পরে
দেখেও দেখে না।
যারা ফুটন্ত ফুলগুলো ঝড়ে পড়ার আগে শেষ করে দেয়
আমার ভালোবাসা ঘৃণাতে।
আহা আমাদের মেধা অবমূল্যায়নে
বাহিরে চলে যায়
গাঁথা কত মালা ছিঁড়ে যায়
কত মেধা চলে যায় হৃদয়ের বাঁধন ছিড়ে কালঘুমে।
আমার চেতনার পাখি মিশে আছে ভোরের বাতাসে।
পিতার হাতে মেয়ের ইজ্জত বিসর্জিত,
মায়ের হাতে বাবার মরা দেহ,
আশ্রয়স্থলের জায়গাও নেই মাথা গোঁজার।
মা–বাবার হাতে নাবালকের নির্মম কালঘুম।
আহ্ প্রকৃতিরও কী বিরূপ চিত্র!
হেমন্ত এসে যায়, চাষির ঘরে আসে না অন্ন
কৃষকের মুখে হাসি নাই
এ কেমন শ্যামল বাংলা!
সব মিলে সবাই দোষি
বেলা শেষে আমাদের তীর হয় শুধু তুমি।
শিশিরজলে ভিজে যাবে বাংলার মধুকূপী ঘাস।
অমন সকাল কি আসবে না কভু?
শুদ্ধতা হবে বা কবে?