প্রত্যাশা

মডেল: মৌসুমী মৌ।
ছবি: আবু সুফিয়ান নিলাভ

তুই আজ কপালে পরেছিস নীল টিপ। যেন ঘাস দ্বীপ। ছোট্ট এ দ্বীপে তুই একা। বসতি নেই কোনো। স্থান দিবি তুই, যে কোনো? যদি নুলো ভিখিরির মতো হয়, তবু্ও। পুরোনো হলুদ খামের চিঠির মতো পরে থাকতে চাই এক কোণে। হৃদ্‌কোণে। অবহেলায় ধুলো জমুক, তবুও যদি বহুদিন পরপর তোর নরম ঠোঁটের আলতো ফুঁতে পরিষ্কার করিস, এই প্রত্যাশা।

তোর চোখের দ্যুতিতে আলফাসেন্টিরাই। মহাকাশময় আলো বিলোয়। সে আলোয় পথ দেখে মার্স-থ্রি নভোযান। সে আলোয় মঙ্গলে পানি খোঁজে অরবিটার। সে আলোয় পুড়ে মরে ঝিঁঝি পোকা। আর আমি, সে জলে ভেসে থাকতে চাই ডানকিনের মতো। যদি কখনো তোর আঙুরের মতো টসটসে আঙুলে একচ্ছটা স্পর্শ খুঁজে পাই, এই প্রত্যাশা।

তোর হাসিতে ধূপগন্ধ। পবিত্র করে পুজোর আঙিনা। সন্ধ্যায় সে গন্ধে মৌ মৌ করে মন্দির। ১৯৩৪ সালে ফিলিপাইনে পাওয়া ৭ কেজি ওজনের, পৃথিবীর সবচেয়ে দামি মুক্তার চেয়েও বেশি আলো ছড়ায় তোর দন্তরাশি। সে আলোয় আমি জোনাকি হয়ে ভালোবাসতে চাই। যদি কোনো দিন তোর পিটপিট করা দৃষ্টি নজর বোলায়, এই প্রত্যাশা।