নিঃশব্দ রাত্রির গভীর জানে,
কতটা দীর্ঘশ্বাস ফুসফুস বেয়ে
মুক্ত বাতাসে মিলায়। কতটা তীব্র কষ্টের বোধ
বিবশ করে—বোধের কশেরুকা;
ক্ষয়ে যাওয়া মস্তিষ্কের নিউরন বেয়ে
ভয়ংকর শীতল অনুভূতির শরীরজুড়ে ছড়িয়ে পড়া,
আর বাতাসে শিস কেটে ছুটে যাওয়া বুলেটের গতি
সমানুপাতিক হয় না, জেনো!
এক রাত্রির সব অন্ধকার আর প্রেমহীন জীবনের যাতনা, যেমন এক নয়!
তবু আজীবন বিরহের যন্ত্রণা বয়ে চলা যতটা সহজ—
ততটা নয়, এক লহমায় নির্গত গভীরতম দীর্ঘশ্বাস;
নখ কামড়ে হয়তো টিকে থাকা যায়,
কিন্তু টিকে থাকাটাই তো মানবজীবনের শেষ কথা নয়!
টিকটিকিও টিকে আছে টি-রেক্সের মিনিয়েচার হয়ে।
কিন্তু খসে পড়া লেজ আর রক্তহীন শরীর নিয়ে
সবার অলক্ষ্যে বুকে হেঁটে বেড়ানোয় কোনো গৌরব নেই!
তবু এত সব আয়োজন, এত প্রচেষ্টা,
টিকে থাকার কী তীব্র লড়াই!
তবু সব ছেড়েছুড়ে বিষহীন মুক্ত বাতাসে এত ভয়!
নিশ্বাস তো অবোধেরও হয়!
কিন্তু বোধের পাশবিক যন্ত্রণা—
প্রতি স্পন্দনে হৃদয় অলিন্দে যে থরথরে কাঁপুনি,
আর খুলিফাটা বাষ্পীভূত ক্রোধের যে উত্তাপ—
তা কি বোধহীনের যাপিত জীবনে অনুভূত হয়!
তবু কেন অবোধ হতে এত অজুহাত!
বোধের মায়ায় বোধহীনের প্রতি পঙ্কিল ভ্রুকুটি!
রাত্রির গভীরে নাপাম বোমার বিস্ফোরণের মতো এত দীর্ঘশ্বাস হৃদয়জুড়ে!
হৃদয় তুমি সৌম্য হও।
নিশ্বাস তুমি স্থির হও। বোধ, তুমি হও অবোধ।
একাকিত্বের লড়াইয়ে সঙ্গী করো না কাউকে।
নিঃসঙ্গতাই তো মানবজন্মের ধ্রুবতম অমোঘ নিয়তি;
নিঃসঙ্গতাতেই হয় বোধের পিণ্ডদান।
নিঃসঙ্গতাতেই যত সুখ, তাই তো—
আমাকে নিঃসঙ্গ থাকতে দাও, বোধহীন এক জীবনে।