তুমি বরং চিঠি দিয়ো

প্রতীকী ছবি

তোমাকে কষ্ট করে নীল শাড়ি পরতে হবে না। ম্যাচিং ব্লাউজ কিংবা কাচের চুড়ি পরে আমার জন্য ঘণ্টার পর ঘণ্টা নির্জন গলিতে দাঁড়িয়ে থাকতে হবে না।

তুমি বরং চিঠি দিয়ো

অভিযোগের অভিধানে চিঠি।

তোমাকে রাত জেগে কথা বলতে হবে না। ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপের প্রেশারে চোখের কোণে দাগ ফেলতে হবে না। রাতজাগা পথিকের মতোও পথে হাঁটতে হবে না।

তুমি শুধু চিঠি দিয়ো

অভিমানে মোড়া উষ্ণ চিঠি।

তোমাকে তিলে তিলে শব্দ বুনতে হবে না। একের পর এক অক্ষরবৃত্ত, মাত্রাবৃত্ত, মগজে তোমার গুঁজতে হবে না। লিখতে হবে না শত পৃষ্ঠার উপন্যাস কিংবা কাব্যগ্রন্থ।

তুমি নিছক চিঠি দিয়ো

অকারণের আবরণে চিঠি দিয়ো।

তোমাকে দিনের পর দিন ক্যালেন্ডারের পাতায় দাগ টানতে হবে না। গুনতে হবে না অপেক্ষার প্রহর। লাল কালি, নীল কালির আঁচড়ে ক্ষতবিক্ষত করতে হবে না রঙিন ক্যানভাস।

তুমি কেবল চিঠি দিয়ো

স্মরণের অজুহাতে চিঠি দিয়ো।

তোমাকে পাশাপাশি হাঁটতে হবে না। ছুঁতে হবে না আমার ফোসকা পড়া হাত কিংবা মেঘে ঢাকা অম্বর। রিকশার হুড তুলে প্রমাণ করতে হবে না তোমার অস্তিত্ব।

তুমি আজই চিঠি দিয়ো

অন্তর্দৃষ্টির তাড়নে চিঠি দিয়ো।

তোমাকে রক্তরাঙা গোলাপ দিতে হবে না। বর্ষার কদম ফুল কিংবা কাদায় ফোটা পদ্ম দিতে হবে না। শ্রাবণের অঝোরধারায় গা ভাসিয়ে ১০৪ জ্বর বাঁধাতে হবে না।

তুমি দণ্ডে দণ্ডে চিঠি দিয়ো

শত ভুলে ভরা অঙ্কিত চিঠি।

বুধপাড়া, মতিহার, রাজশাহী