চীনে বন্ধুসভার ক্রিকেট সিরিজে পাকিস্তানের কাছে হারল বাংলাদেশ
চলছে ভাষার মাস ফেব্রুয়ারি। ভাষার মাস উপলক্ষে চীন বন্ধুসভার উদ্যোগে চীনে আয়োজন করা হয় ৫ ম্যাচের বাংলাদেশ-পাকিস্তান ক্রিকেট সিরিজ। চীনে অধ্যয়নরত বাংলাদেশ ও পাকিস্তানি শিক্ষার্থীদের নিয়ে অনুষ্ঠিত হয় এই সিরিজ। ১১ থেকে ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত নানজিং ইউনিভার্সিটি অব ইনফরমেশন টেকনোলজির স্টেডিয়ামে চলে এই সিরিজ।
১১ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত প্রথম ম্যাচে টসে জিতে আরাফাত আকন্দের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ দল সংগ্রহ করে ১১৫ রান। জবাবে মোহাম্মদ করিমের নেতৃত্বাধীন পাকিস্তান দল সংগ্রহ করে ৮৫ রান। দ্বিতীয় ম্যাচে পাকিস্তানের করা ১০৬ রানের জবাবে বাংলাদেশ ১০১ রান করে ম্যাচ হেরে যায়।
তৃতীয় ম্যাচে বাংলাদেশ সংগ্রহ করে ১৫০ রান। জবাবে পাকিস্তান ১০৫ রান করে পরাজিত হয়। চতুর্থ ম্যাচে পাকিস্তানের করা ১৩৪ রানের জবাবে বাংলাদেশ করে ১৩০ রান।
২-২ সমতায় থাকা দুই দল সিরিজ জয় করতে মাঠে নামে ১৫ ফেব্রুয়ারি। শেষ ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তান সংগ্রহ করে ১২৪ রান। এর জবাবে ১০ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ সংগ্রহ করে ৮৫ রান। শেষ ম্যাচ জিতে পাকিস্তান ৩-২ ব্যবধানে সিরিজ নিজেদের করে নেয়।
চীনে বন্ধুসভার ক্রিকেট সিরিজদুই দল থেকে দুইজনকে ম্যান অব দ্য ম্যাচ ঘোষণা করা হয়। পাকিস্তানের মোহাম্মদ নবী ও বাংলাদেশের আরাফাত আকন্দকে ম্যান অব দ্য সিরিজ ঘোষণা করা হয়। ম্যাচ পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন আহনাফ তহমিদ।
সিরিজের শেষ ম্যাচে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রিসার্চ সোসাইটির ভাইস চেয়ারম্যান মো. জালাল উদ্দীন, গবেষক সঞ্জিত কুমার মন্ডল, গবেষক মো. আরফান আলী ও চীনা গবেষক ইয়াং লুই।
ম্যাচ পরিচালক ও যুগ্ম আহ্বায়ক আহনাফ তহমিদ বলেন, ‘প্রথম আলো বন্ধুসভা সব সময় চেষ্টা করে ভালো কাজ করার। তাই চীন বন্ধুসভাও চেষ্টা করছে নিয়মিত নানা আয়োজনের। ভাষার মাসে চীনে আয়োজন করা হয় এই প্রীতি ক্রিকেট ম্যাচ।’
চীনা গবেষক ও শেষ ম্যাচের অতিথি ইয়াং লুই জানান এমন আয়োজনে তিনি খুশি। খেলার মাধ্যমে মাতৃভাষা দিবসকে সামনে রেখে এই আয়োজন ছিল ভিন্ন কিছু।
পাকিস্তান ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ করিম উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে বলেন, ‘আমরা দুর্দান্ত একটি টুর্নামেন্ট খেললাম। বাংলাদেশ ভালো খেলেছে। এমন আয়োজনে সবাই খুশি।’
বাংলাদেশ ক্যাপ্টেন ভাষাশহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, বিদেশের মাটিতে নিজেদের দেশকে তুলে ধরার চেষ্টা ছিল আমাদের। বাংলাদেশি হিসেবে আমরা গর্বিত, কারণ বাংলাদেশের সন্তানেরাই জীবনের বিনিময়ে মায়ের ভাষাকে ছিনিয়ে এনেছে।’