‘এহন গাঙ্গে গেলে লাভ তো দূরের কথা, তেলের টিয়াই ওঠে না’

খুব শিগগির নদীতে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ ধরা পড়বে এমন আশায় দিন গুনছেন স্থানীয় জেলেরা
ছবি: লেখক

এখন ইলিশের ভরা মৌসুম। এ সময় জেলেদের জালে বেশি পরিমাণে ইলিশ ধরা পড়ার কথা থাকলেও আশানুরূপ ইলিশের দেখা মিলছে না। কোনো দিন মাছ পাওয়া যাচ্ছে, আবার কোনো দিন যাচ্ছে না। হতাশায় দিন কাটাচ্ছেন জেলেরা।

ভোলার নাছির মাঝি ঘাটে গিয়ে দেখা যায়, ঘাটে নোঙর করা সারি সারি নৌকা-ট্রলার। জেলেরা কেউ নৌকায় বসে, কেউ–বা নদীর পাড়ে বসেই জাল বুনে সময় পার করছেন। মাঝি জাকির হোসেন বলেন, ‘এহন গাঙ্গে গেলে লাভ তো দূরের কথা, তেলের টিয়াই ওঠে না। তবে কিছুদিন আগে ভালোই মাছ ধরা পড়েছিল।’

জেলেদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, মৌসুমের শুরুতে প্রচুর ইলিশ ধরা পড়ায় ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখেছিলেন তাঁরা। কিন্তু এখন আবার দেখা দিয়েছে ইলিশের আকাল। বশির মাঝি বলেন, ‘কোনো দিন পাঁচ হাজার টাকার মাছ পাই, আবার কোনো দিন তারও বেশি। কোনো দিন খরচ ওঠে, আবার কোনো দিন ওঠে না।’

উপকূলীয় জেলেরা জানান, গত বছর এমনটি হয়নি। তখন ভরা মৌসুমে জেলেদের জালে ধরা পড়েছিল ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ। কিন্তু এখন ইলিশসংকটে থমকে গেছে তাঁদের জীবিকা। জেলে সমিতির সভাপতি মো. এরশাদ ফরাজি বলেন, ‘এখন নদীতে মাছ একটু কম, জেলেরা কষ্টে আছেন। নিষিদ্ধ জালের ব্যবহারের কারণে ইলিশের দেখা মিলছে না বলেও মনে করছেন কেউ কেউ। তবে নদীর চেয়ে সাগরে অনেক বেশি ইলিশ ধরা পড়ছে।’

খুব শিগগির নদীতে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ ধরা পড়বে এমন আশায় দিন গুনছেন স্থানীয় জেলেরা
ছবি: লেখক

এ ব্যাপারে ভোলা সদর মৎস্য কর্মকর্তা মো. জামাল হোসাইন বলেন, ‘ইলিশ ধরা পড়ছে, তবে পরিমাণে কিছুটা কম, এটা প্রকৃতিগত কারণ হতে পারে। যেহেতু মৌসুমের অর্ধেক সময় কেটে গেছে। তাই আশা করা যাচ্ছে, কিছুদিনের মধ্যে ইলিশের পরিমাণ আরও বাড়বে। সেপ্টেম্বর মাসজুড়ে প্রচুর ইলিশ ধরা পড়বে।’

সাংগঠনিক সম্পাদক, ভোলা বন্ধুসভা