এক ফাল্গুনী বিকেলে

অলংকরণ: মাসুক হেলাল

কোনো এক ফাল্গুনী বিকেলে সারা দিনের ক্লান্তির অবসরে আমরা হাঁটতে বের হব। তুমি আকাশের মতো নীল রঙের একটা শাড়ি পরবে। কপালে একটা টিপ থাকবে, সিঁথিতে থাকবে টকটকে লাল সিঁদুর। হাতভর্তি কাচের চুড়ি। লাল, নীল, সবুজ, হলুদ আরও নানান রঙের। পায়ে আলতা। ব্যাস, এটুকুই।

তুমি বলবে কেমন লাগছে আমাকে? আমি বলব, ‘নন্দিনী–অপরূপা’। নদীর পাড় ধরে কচি ঘাসের ওপর পা ফেলে হাঁটব আমরা।

নদীর দুকূলে তখন বাহারি ফুল আর বসন্তের সমীরণ। শেষ বিকেলের আলোয় চিকচিক করবে নদীর জল। যেন হাজার রাশি মুক্তা ঝিকমিক করছে। একঝাঁক সাদা বক ডানা ঝাপটে ফিরে যাবে নিজের ঠিকানায়।

নদীর উত্তাল ঢেউয়ে ভেসে আসবে একটি ছোট্ট ডিঙি নৌকা। তুমি বায়না ধরবে নৌকায় চড়তে। আমরা নৌকায় উঠব। সূর্য মামা তখন তার শেষ আলোটুকু ছড়িয়ে দেবে তোমার গায়ে।

মনে হবে পৃথিবীর সব ঐশ্বর্য তোমাকে পরিপূর্ণা করে তুলেছে। আমি গাইব, ‘আমায় ভাসাইলি রে, আমায় ডুবাইলি রে, অকূল দরিয়ার বুঝি কূল নাই রে...।’