আমেরিকার ‘জ্যাকসন হাইটস’ যেন একটুকরো বাংলাদেশ

আমেরিকার ‘জ্যাকসন হাইটস’ এলাকায় একটি বাংলাদেশি রেষ্টুরেন্টছবি: বন্ধুসভা

নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসের রাস্তা দিয়ে হাঁটছিলাম, মনে হচ্ছিল আমি ঢাকার ফার্মগেট, নিউমার্কেট, গাউসিয়া মার্কেট এলাকা দিয়ে হাঁটছি। চারপাশ থেকে কানে ভেসে আসছে খাঁটি বাংলায় কথোপকথন। বাংলাদেশের বিভিন্ন আঞ্চলিক ভাষাও শুনতে পাচ্ছিলাম। এখানে অধিকাংশ মানুষই বাংলাদেশি। বাকিরা ভারত, পকিস্তানসহ অন্যান্য দেশের।

বাংলাদেশি মালিকানাধীন একটি দোকান
ছবি: বন্ধুসভা

অনেক দোকানপাটের মালিক বাংলাদেশি। খরিদ্দাররাও বাংলাদেশি। পছন্দের কী নেই সেসব দোকানে! চিপস, চানাচুর, মুড়ি থেকে শুরু করে সব ধরনের মাছ, মাংস, শুঁটকি, শাকসবজি, ফল সবই রয়েছে। এমন কিছু দুষ্প্রাপ্য ফল দেখলাম, যা ঢাকায়ও খুঁজে পাওয়া যায় না। শাড়ি, লুঙ্গি, সালোয়ার–কামিজের অনেক দোকান রয়েছে, আছে ঝলমলে স্বর্ণের দোকানও।

দেখে খুব ভালো লাগল যে আড়ংয়ের একটি শোরুমও আছে জ্যাকসন হাইটসে। বাংলা পত্রিকার অফিস এবং বাংলাদেশি মালিকানাধীন প্রেস, ট্রাভেল এজেন্সিও রয়েছে। বাংলা খাবারের রেস্টুরেন্ট, মিষ্টির দোকান, কাবাবের দোকান, চটপটি, ফুচকাসহ বিভিন্ন ধরনের পণ্যসামগ্রীর দোকান।

ঢাকার ফুটপাতের মতো অস্থায়ী দোকান
ছবি: বন্ধুসভা

ঢাকার ফুটপাতের মতো এখানকার ফুটপাতেও বসেছে ভাসমান দোকান। এমন কোনো জিনিস নেই যা ওখানে পাওয়া যায় না। কয়েকটি জায়গায় দেখলাম, বেশ কয়েকজন মিলে জটলা পাকিয়ে গল্পগুজব করছেন, আড্ডা দিচ্ছেন। সবকিছুর মধ্যেই রয়েছে বাংলাদেশি স্বাদ। সত্যি এ যেন আমেরিকার ভেতর এক মিনি বাংলাদেশ।

বাংলাদেশি মালিকানাধীন একটি মিষ্টির দোকান
ছবি: বন্ধুসভা

ঘোরাঘুরি শেষে কাবাব কিংয়ে গিয়ে সুস্বাদু কাবাব আর নান খেলাম। স্বাদ একদম ঢাকার কাবাবের মতো। কাবাব কিংয়ের টয়লেটে গিয়ে আমি হতবাক। আমেরিকায় আসার পর থেকে এ পর্যন্ত যত জায়গায় গিয়েছি, এ জিনিস কোথাও দেখিনি। দেখার আশাও করিনি। কিন্তু সেটিই দেখলাম এখানে, বদনা!

লেখা: বন্ধু, ঢাকা মহানগর বন্ধুসভা