অভীকের শুরুর গল্প

প্রতীকী ছবি
অলংকরণ: মাসুক হেলাল

ভীষণ চুপচাপ স্বভাবের ছেলে অভীক। কথা দু–একটা বললেও পারে, আবার না বললেও চলে। কারও সাথে তেমন ভাব জমাতেও পারে না। আর অনেক মানুষের সামনে কথা বলার সাহস তো একদমই নেই। ক্লাসের পড়াগুলো তৈরি করা, রুটিনমাফিক ক্লাসে যাওয়া—এটুকুতেই অভীক আটকে আছে। যতটুকু সময় অবসর থাকে, তখন কেবল তাকে বই হাতেই দেখা যায়। উপন্যাস, ছোটগল্প আর কবিতা নাকি তার খুব পছন্দের, তাই এসব পড়েই সময় কেটে যাচ্ছে অভীকের।

ইদানীং অভীককে খুব চিন্তিত লাগছে। পড়াশোনায় তেমন মনোযোগ নেই। কথা বলে জানা গেল সে নাকি ক্লাস, বই পড়া বাদেও অন্য কিছু করতে চায়। অভীকের ক্লাসমেট রনি, সে বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। অন্যদিকে তার আরেক ক্লাসমেট পিংকি লকডাউনের শুরুতেই উদ্যোক্তা হিসেবে কাজ শুরু করেছে। এদিকে এই সবকিছু অভীক ফেসবুকে দেখেছে। মাঝেমধ্যে লাইক, কমেন্টও করছে। এবার তারও ইচ্ছা করছে নতুন কিছু করার। এ বিষয়ে তাকে সহযোগিতা করবে কে?—এমন চিন্তা করেই দিন কাটাতে লাগল অভীক।

হঠাৎ করেই খাতা-কলম নিয়ে বসে পড়ল অভীক। লেখা শুরু করল তার যেসব বিষয়ে দক্ষতা রয়েছে, সেগুলো। কিছু বিষয় আবার আলাদা করে রেখেছে। এ বিষয়গুলো নাকি বিস্তারিত জানতে হবে। এমন করেই ধীরে ধীরে নিজেকে গুছিয়ে নেওয়ার কাজে যুক্ত হলো অভীক। একপর্যায়ে সে কাজের ক্ষেত্র খুঁজতে শুরু করল। এ ক্ষেত্রে অনলাইনে কাজ খুঁজতে লাগল গুগল, ফেসবুক, লিংকডিনসহ নানা প্ল্যাটফর্মে।

আজকে প্রথমবারের মতো ভাইভা দিতে যাচ্ছে অভীক। মাসখানেক আগেই শুরু হয়েছিল তার প্রচেষ্টা। নিজেকে গড়ার জন্য তৈরি হতে শুরু করেছিল সে। কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে প্রতিযোগিতা, ইন্টার্নশিপসহ নানা পদে আবেদন করেছিল। আজ অভীক দ্বিতীয় ধাপে ডাক পেয়েছে।