অদৃশ্য শত্রুর সাথে লড়াই

প্রতীকী ছবি।
অলংকরণ: বাবুল হোসাইন সোহাগ

এই লেখা যখন লিখছি, তখন পুরো বিশ্ব এক অদৃশ্য শত্রুর মোকাবিলা করছে। এখন কিছুটা স্বাভাবিক হলেও গত বছর এই সময়টাতে চারদিকে ভয়, আতঙ্ক, বেঁচে থাকার শঙ্কা নিয়ে গৃহের মধ্যে নিজেদের আবদ্ধ রেখে অ্যাম্বুলেন্সের সাইরেনের শব্দের সাথে দিনাতিপাত করেছিল বিশ্বের মানুষ।

অনেকেই হারিয়েছেন তাদের প্রিয়জনকে। চিকিৎসাবিজ্ঞানে পড়াশোনার কারণে দেখতে পাই ভাইরাসের শ্রেণি বিভাগের একদম নিচে থাকা Coronavirus কীভাবে এতটা ভয়ানক হতে পারে, কীভাবে বিশ্বের উন্নত চিকিৎসাব্যবস্থাকে ভেঙে দিয়ে প্রতিনিয়ত নিজের শক্তি প্রদর্শন করে। এই ভাইরাসের দ্রুত ছড়িয়ে পড়া ও বিপজ্জনক হওয়ার কারণ এর মিউটেশন অর্থাৎ রূপ বদলে ফেলার ক্ষমতা অন্য ভাইরাসের তুলনায় একদম আলাদা। এ জন্যই এই ভাইরাসের প্রতিষেধক আবিষ্কারে ও চিকিৎসা প্রয়োগে রীতিমতো হিমশিম খেতে হয়েছে চিকিৎসাবিজ্ঞানীদের।

নাক, মুখ ও চোখের মাধ্যমে মানবদেহে প্রবেশ করে এই ভাইরাস ফুসফুসকে দ্রুত আক্রমণ করে ফুসফুসের কার্যক্ষমতা হ্রাস করে ফেলে। শুরুর দিকে বয়স্ক ও সহরোগে আক্রান্ত ব্যক্তিরা বেশি সংক্রমিত হলেও বর্তমানে তরুণদের সংক্রমণের হার উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে। এর কারণ সচেতনতার অভাব। সম্প্রতি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এই ভাইরাসের প্রতিষেধক আবিষ্কার এবং প্রয়োগ শুরু হয়েছে। কিন্তু তারপরও এই ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে প্রয়োজন অনেক বেশি সচেতন হওয়া।

হংকং বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. গ্যাব্রিয়েল লিউং স্বাস্থ্য সম্পর্কিত এক নির্দেশনায় বলছেন, হাত সব সময় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে, বারবার হাত ধুতে হবে। হাত দিয়ে নাক বা মুখ ঘষবেন না, ঘরের বাইরে গেলে মাস্ক পরতে হবে। তিনি বলেন, ‘আপনি যদি অসুস্থ হয়ে থাকেন তাহলে মাস্ক পরুন, আর নিজে অসুস্থ না হলেও, অন্যের সংস্পর্শ এড়াতে মাস্ক পরুন।’

একদিন ভাইরাসটির ক্ষমতা থাকবে না, কিন্তু ভাইরাসটি আমাদের বর্তমান প্রজন্মকে শিখিয়ে দিয়েছে অনেক কিছু। সবাই সুস্থ থাকুন, নিজের পরিবারকে সুস্থ রাখুন।

যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, ঢাকা মহানগর বন্ধুসভা