বিষণ্ণ বসন্ত বিকেল
অপেক্ষার প্রহর প্রতীক্ষায় গড়িয়ে
সজল চোখেও একসময় ক্লান্তির ছায়া পড়ে,
ঝিলস্বচ্ছ জ্বলজ্বলে নয়নমণিতেও
গোচর হয় রুক্ষতার স্পষ্ট আঁচড়।
আজকাল ইচ্ছা করেই তোমাকে ভুলে থাকি
ভুলে থাকি নিজেকেও...
কিন্তু বসন্ত বার্তায় ধেয়ে আসা বাতাসের
উন্মাদ স্পর্শে চিত্ত ব্যাকুল হয় কেবলই!
কোকিলের নিদারুণ কুহুরবের মূর্ছনাতে
অলস দ্বিপ্রহরগুলো বড় বেশি নিঃসঙ্গ লাগে।
বিরহী কোকিলের মতো বিষাদ দহনে
হৃদয়টাও জ্বলে জ্বলে অঙ্গার হয়ে যায়
দুঃসহ একাকিত্বের নিদারুণ যন্ত্রণায়।
আগুনরঙা কষ্টগুলো উড়ে উড়ে
অহর্নিশ বাষ্পায়িত করে হৃদয়াম্বর,
অতীতের স্মৃতিগুলোও নিকোটিনের ধোঁয়ার মতো
ধূসরতা ছড়িয়ে বিষণ্ণতায় আবছা করে তোলে
পলাশ ফোটা খরাচৈত্রের বিকেলগুলোকে।
এমন অসহ্য মন খারাপের সন্ধেবেলায়
ধূপ কুসুমের সুবাসেও নিঃশ্বাস আটকে আসে!
সাঁঝবাতি জ্বেলে জানালার পর্দা টেনে
আয়েশ করে বসি গোধূলি দর্শনে,
সেখানেও দীর্ঘ রাত্রি সূর্যের বিচ্ছেদ ভয়ে
বিদায়ী ক্ষণে সিঁথির সিঁদুর লেপটে দেয়
অভিমানী পশ্চিমের আকাশ।