মাতৃছায়া
অমল ধবল পূর্ণিমার মতো যে মুখ,
যেখানে নক্ষত্রেরা স্বপ্ন দেখে—
সেই মুখটি আমার মায়ের,
যাঁর নিঃশব্দ হাসিতে ভোর হয় জীবন।
যেন কালের ক্যানভাসে আঁকা
নির্বাক শিল্প, তুলির রেখায় উচ্চারণহীন ব্যথা;
যার আঁচলে ইতিহাস ঘুমায়,
নদীর ঢেউয়ের মতো কোমল দোলায় চেতনার নাও।
তাঁর চোখ—
দুইটি দীপ্ত কুসুম, দহন ছুঁয়ে প্রস্ফুটিত,
যেখানে বেদনার আখ্যান জমে আছে সহস্রাব্দ ধরে,
তবু অক্ষয় ধৈর্য নিয়ে তিনি চেয়ে থাকেন,
জগতের দিকে নয়—সন্তানের মুখের দিকে।
এই পৃথিবী ধ্বংস হলেও
মায়ের আশীর্বাদের ছায়া থাকে অমল,
যার একটি নিশ্বাসে জন্ম নেয় মহাকাব্য,
আর একটি নিঃশব্দ আহ্বানে থেমে যায় ত্রিভুবনের ক্রন্দন।
মা—
তুমি শুধু শব্দ নও, তুমি এক মহামন্ত্র,
যা উচ্চারণে সমস্ত ক্লান্তি হারায়,
আর হৃদয় শুদ্ধ হয় নিঃশেষে।