মা, তুমি কি ফোনের এপাশের ভয়ংকর অন্ধকারাচ্ছন্ন পরিস্থিতি সম্পর্কে অবগত? তুমি কি জানো মা, বিশ্বাসেরা আমার সঙ্গে বারবার প্রতারণা করতে করতে আজ ক্লান্ত। আমিও খুব পরিশ্রান্ত, বেপরোয়া ছুটে চলি এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে।
তাই বলে ভেবো না আমি আজ উদ্ভ্রান্তদের দলে। শুতে শুতেই নিদ্রা আমাকে কাবু করে ফেলে।
জানি তুমি ভালোবাসো, মা। তারপরও নিদ্রাহীন রাতের কথা তোমাকে বলা হয় না। যদি কখনো নিদ্রায় তলিয়ে যায় এই দেহ, মস্তিষ্ক চিৎকার দিয়ে বলে ওঠে চেয়ে দেখ, আজ তোর পাশে নেই কেউ।
মা, এই হৃদয়খানি আজ বড্ড ভারী লাগে, তুমি কি পারতে একে বের করে দিতে? তোমার আঁচলে আমার সব না পাওয়ার ইতি টেনে নিতে?
মা, কেন এই হেলাফেলা, বড্ড কঠিন এই অবহেলা। তোমাকে কিছুই বলা হয় না। কারণ, তুমি আমার অশ্রু দেখো না। তুমি স্বপ্ন দেখো আমার বেঁচে থাকার।
আমিও ভাবতে থাকি, আমি কি কেবলই আমার! আজ আর আমি আমার নেই মা। আমি ভেঙে যাওয়া আয়নার, টুকরা হওয়া হৃদয়ের, ঠিকানাহীন পথের।
মা, তবু আমি অন্ধকার কবরের হতে পারি না। মরে যাওয়াটা ভীরুতা মনে হয়। এই ভীরুতাই আমাকে বাঁচতে শেখায়। মা, একা অন্ধকার ঘরে এখনো তোমাকে খুঁজি; আমার ব্যথার উপশম হিসেবে তোমাকেই বুঝি।
তুমি কি জানো মা, আমার কী ইচ্ছা করে?
পৃথিবীর সব ভয়াবহতা মুছে দিয়ে, তোমার কোলে গিয়ে বসি। কিন্তু ভয় হয়, শঙ্কা জাগে, তুমিও পর করে দেবে আমাকে। যেমন করতে ছোটবেলায়, তোমার সব অবহেলায়। আমার কি দোষ ছিল তুমি জানো? আচ্ছা মা, আজও আমাকে দোষী মানো?
শিক্ষার্থী, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়