বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কবিতা

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানছবি: সংগৃহীত

রাজনীতির কবি
রশীদ এনাম

টুঙ্গিপাড়ায় জন্মেছিল রাজনীতির এক কবি
মনের তুলিতে স্বপ্ন এঁকেছিল স্বাধীন বাংলার ছবি।
তাঁর ভাষণে জাদু আছে, আছে স্বদেশপ্রীতি
স্বাধীন বাংলায় আজও রচিত হয় তাঁর নামেতে গীতি।
দামাল ছেলেটির কণ্ঠ শুনলে আজও হৃদয় কাঁদে
আগস্ট এলে কবিরা সবাই শোকগাথা গান বাঁধে।
এই কবিরই আত্মত্যাগে দেশের মানুষ ঋণী
হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু নামে তাঁকে সবাই চিনি।
তাঁর নামে কর্ণফুলীতে ভাসাই ভালোবাসার সাম্পান
এই বাংলার অপর নাম কিন্তু বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

মুজিব মানে
এম এ রহমান

মুজিব মানে বজ্রকণ্ঠ
শত্রুর কাঁপা বুক
মুজিব মানে প্রলয়শিখা
শত্রুর পোড়া মুখ।
মুজিব মানে স্বাধীনতা
আঁধার তাড়া সূর্য
মুজিব মানে অসীম সাহস
রণাঙ্গনের তূর্য।
মুজিব মানে দেশের ছবি
বুকের মধ্যে ধারন
মুজিব মানে শত্রুচোখে
দেশকে দেখা বারন।
মুজিব মানে চিরসবুজ
বাংলাদেশের হাসি
মুজিব মানে সোনার বাংলা
তোমায় ভালোবাসি।

তোমার জন্য পেয়েছি স্বাধীনতা
নাহিদ হোসাইন

এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।
রেসকোর্স ময়দানের সেই বজ্রধ্বনি
লাল–সবুজের কোটি বাঙালি
চিরদিনই তোমার নিকট ঋণী।
বঙ্গবন্ধু তুমি জন্মেছিলে বলে
স্বাধীনতা তাই এসেছে চলে।
তোমার কারণে পেয়েছি এই স্বাধীনতা
মানব না তাই কারও পরাধীনতা।
স্বাধীনকামী বাঙালি তোমায় করেছিল বিশ্বাস
পরাধীনতার শিকল ভেঙে লিখেছ নতুন ইতিহাস।
হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি অবিসংবাদিত নেতা,
তুমি জন্মেছিলে বলেই পেয়েছি আজ এই স্বাধীনতা।

মুজিব মানে বাংলাদেশ
রশীদ এনাম

টুঙ্গিপাড়ার দস্যি ছেলে নামটি তাঁর মুজিবুর রহমান
মধুমতী নদী কালের সাক্ষী আজও আছে বহমান।
কে বা জানত, দুরন্ত খোকা হৃদয়পটে আঁকবে সোনার দেশ,
৭ মার্চে তাঁর ডাকেতে গর্জে উঠল স্বদেশ।
বঙ্গোপসাগরের জলরাশির চাদরে বোনা পদ্মা–মেঘনা–যমুনা
টুঙ্গিপাড়ায় হলো তাঁর শেষের ঠিকানা।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আজও কানে বাজে সেই বিশ্ববিখ্যাত ভাষণ
নিজভূমেতে বিজয় নিশান ওড়ানোই ছিল তাঁর মিশন।
মুজিব মানে স্বাধীন বাংলায় পতাকার পতপত শব্দ
বঙ্গবন্ধুর হাতে হয়েছিল পাকবাহিনী জব্দ।
মুজিব মানে গরিব কৃষকের মুখে এক চিলতে হাসি
মুজিব মানে শস্যখেতে রাখাল বাজায় বাঁশি।
মুজিব মানে এক দুরন্ত কিশোর, আজও যেন গর্জে ওঠে বেশ।
মুজিব মানে মা, মাটি ও মাতৃভূমি বাংলাদেশ।