চিঠি কাব্য

প্রিয় ডাকবাক্স,

বুঝতে পারি তোমার কষ্ট। রোদ, ছায়া, ঝড়, বৃষ্টিতেও তুমি ঠায় দাঁড়িয়ে থাক। বিশ্বাস করো, অনেক দিন ভেবেছি চিঠি লিখব তোমায়। রঙিন কলমের কালিতে গোটা গোটা অক্ষরের লেখা। এক পাতা, দুই পাতা করে অনেক পাতা হবে নীল খামে ভরা চিঠি।

সুখ-দুঃখ, অভিমান, আনন্দ, ভালোবাসা, আকুতি ভরা চিঠি। থরে থরে সাজানো মমতায় ভরা চিঠি হবে ইতিহাসের সেরা চিঠি। পড়তে পড়তে সকাল, দুপুর, বিকেল গড়িয়ে যেন সন্ধ্যা কেটে যায়। চিঠিতে খণ্ড খণ্ড মেঘের আকাশকে মনের রঙে আঁকব। বুকের গহিনে লুকিয়ে থাকা কষ্টগুলোকে গল্পে সাজাব।

জানো ডাকবাক্স, গোধূলিলগ্নে যখন মন খারাপ হয়, তখন এলোমেলো ভাবনা আমাকে ভীষণ অস্থির করে তোলে। খুব চাই, কেউ একজন আমাকে চিঠি লিখুক। চিঠিজুড়ে শুধু অনামিকা, অনামিকা বলে ডাকুক। গোলাপের পাপড়ি থাকবে চিঠির ভাঁজে ভাঁজে। চিঠি খুললেই মিষ্টি সুবাসে তনুমন হবে সুবাসিত, প্রাণে দেবে সুখের দোলা। গভীর নিশিথে সবার অলক্ষ্যে বার বার বহুবার পড়ব সেই চিঠি। কিছু শব্দ না হয় আমিই ধার দেব। কিছু শূন্যস্থান না হয় আমিই পূরণ করব; লেখার বদলে যদি হাতের জলছাপ হয় তবু চলবে।

বুঝলে ডাকবাক্স, অনেক দিন পর তোমাকে আমার না বলা কথাগুলো বললাম। কী যে শান্তি লাগছে। ভেতরটা হালকা হলো। আর ভুল হবে না। এখন থেকে তোমায় আমি নিয়ম করে চিঠি লিখব। ভালো থেকো!

ইতি
অনামিকা

উত্তরা, ঢাকা