মনে হচ্ছিল হয়তোবা স্বপ্ন দেখছি!

অতিথি ও আলোচকদের কাছ থেকে ‘সেরা লেখক বন্ধু’ সনদ গ্রহণ করছেন লেখক
ছবি: তানভীর আহেম্মদ

গত মাসে আমার টেস্ট পরীক্ষা চলছিল। এ কারণে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকে কিছুদিনের জন্য বিরত ছিলাম। কোথায় কী হচ্ছে কোনো খবরই পাচ্ছিলাম না। গত ১৭ মে কেরানীগঞ্জ বন্ধুসভার সভাপতি এইচ এম রুবেল ভাই আমাকে ফোন করে জানাল, লেখক বন্ধু উৎসবের কথা। বলল, ‘তুমি লেখক বন্ধু উৎসবে রেজিস্ট্রেশন করে রাখো।’ কোনো কিছু না ভেবে সঙ্গে সঙ্গে রেজিস্ট্রেশন করে ফেলি।

পরীক্ষা শেষ হলে গত ২৮ মে আবারও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ফিরে আসি। উৎসবের বিষয়ে রুবেল ভাইয়ের সঙ্গে কথা বলি, কীভাবে যাবে, কে কে যাবে এসব। আগে কখনো প্রথম আলোয় আমার যাওয়া হয়নি। তাই ওনার সঙ্গে যাওয়ার সিদ্ধান্ত হলো। সঙ্গে যাবে সাজ্জাদ হোসেন, সে-ও রেজিস্ট্রেশন করেছে।

উৎসবের দিন সকাল সাড়ে সাতটায় আমার মোহাম্মদপুর বেড়িবাঁধে থাকার কথা। কিন্তু পৌঁছতে দেরি হয়ে যায়। মেয়ে মানুষদের তৈরি হতে যে একটু সময় লাগে! অবশ্য দেরি করায় ভাইদের বকা খেতে হয়েছে। প্রথম আলো অফিসে পৌঁছে নিবন্ধন সেরে নাশতা করে ফেলি। মূল অনুষ্ঠান শুরু হতে তখনো কিছুটা সময় বাকি। সেই সুযোগে চায়ের স্বাদ নিতে আমরা কিছুক্ষণের জন্য বাইরে যাই।

জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে শুরু হয় লেখক বন্ধু উৎসব। কাব্যচর্চা, গল্প, ফিচারসহ সাহিত্যের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন সাজ্জাদ শরিফ, আনিসুল হক, শাহনাজ মুন্নী, মোহিত কামাল ও আলতাফ শাহনেওয়াজ। অংশ নেন সারা দেশের বিভিন্ন বন্ধুসভার নির্বাচিত ৪৪ লেখক বন্ধু। এর মধ্যে কয়েকজনের বইও প্রকাশিত হয়েছে।

সেরা ১০ লেখক বন্ধুর নাম ঘোষণা ও তাঁদের সম্মাননা দেওয়া হচ্ছিল। আমি নিজ আসনে বসে আছি আর ভাবছি, আমাকে দিয়ে হয়তো লেখালেখি হবে না। কিন্তু কিছুক্ষণ পরই আমার ধারণা বদলে গেল। আমার নামও ঘোষণা করা হলো। মনে হচ্ছিল, হয়তোবা স্বপ্ন দেখছি! আনিসুল হকের হাত থেকে সার্টিফিকেট ও বই উপহার পেয়েছি!!! সেরা দশের মধ্যে আমি একমাত্র মেয়ে লেখক, যা অনেক বড় পাওয়া।

কার্যনির্বাহী সদস্য, কেরানীগঞ্জ বন্ধুসভা