চিরঋণী

হুমায়ূন আহমেদ (১৩ নভেম্বর ১৯৪৮—১৯ জুলাই ২০১২)

নিশ্চুপ এক কক্ষের ভেতরে গিয়ে টেবিলের ওপর একটি খাতা ও কলম নিয়ে বসলাম। একজন মানুষকে নিয়ে আজ অনুভূতির কিছু শব্দ লিখতে হবে। যে শব্দগুলো মনের একদম গহিন থেকে আসছে। শৈশব থেকে যৌবনকাল অবধি মানুষটির কাছে চিরঋণী।

জীবনের পড়া প্রথম উপন্যাস থেকে শুরু করে আজও দরজা খুলে বের হয়ে দেখি, জোছনা যেন হাতছানি দিচ্ছে। হিমুর মতো করে হাতে দ্বিতীয় কদম ফুল নিয়ে খালি পায়ে হেঁটেছি অনেকটা পথ। রূপার মতো কেউ আসেনি জীবনে। তবে শুভ্রের মতো বোকা সেজে অপেক্ষায় থেকেছি স্টেশনে।

আমি কী নামে আপনাকে সম্বোধন করি, হে প্রিয় মানুষ। এ মহাবিশ্বে আপনার দেহে প্রাণ নেই। তবে আপনার লেখা সব পুস্তকে যেন প্রাণ আছে। আমার হাত কেঁপে ওঠে আপনাকে নিয়ে অনুভূতির শব্দগুলো লিখতে গিয়ে। আজও আপনাকে স্মরণে রেখেছি, রাখা খুব প্রয়োজন বলে। আপনি আর ফিরে আসবেন না জানি। তবে আপনি যা দিয়ে গেছেন এই বাংলা সাহিত্যে, তার জন্য আপনার কাছে চিরঋণী।

বন্ধু, চট্টগ্রাম বন্ধুসভা