সেজেছে জীবনানন্দের ভাঁটফুল

ভাঁটফুলছবি: লেখকের সৌজন্যে

বসন্ত এলেই চারদিকে যত ফুল আছে, তা প্রস্ফুটিত হয়। নাম জানা বিখ্যাত সব ফুলের সঙ্গে ফোটে নাম না জানা, পথের ধারে অবহেলায় পড়ে থাকা মায়াবী বহু ধরনের ফুল। রূপে এসব ফুল সত্যিই অনন্য। এদের মধ্যে অন্যতম ভাঁটফুল। তবু এই সৌন্দর্য পরিচিত জংলি ফুল হিসেবেই। তবে এর পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় মিষ্টি সুবাস আপনাকে কাছে টানবেই।

যার উল্লেখ আছে রূপসী বাংলার কবি জীবনানন্দ দাশের কবিতায়, ‘ভাঁট আঁশ শ্যাওড়ার বন/ বাতাসে কী কথা কয় বুঝি নাকো/ বুঝি নাকো চিল কেন কাঁদে/ পৃথিবীর কোনো পথে দেখি নাই আমি/ হায়, এমন বিজন।’ নেহায়েতই অবহেলায় রাস্তায় চলতে গিয়ে দেখা মেলে এ গাছের। বসন্ত ছাড়া চোখেও পড়ে না। তবে এ সময় যখন ভাঁটগাছের কাণ্ড ফুলে ফুলে ভরে যায়, তখন পথিকের দৃষ্টি কেড়ে নেয় অনায়াসেই।

ভারত, বাংলাদেশ ও মিয়ানমার এই ফুলের আদি নিবাস। এই গাছের প্রধান কাণ্ড সোজাভাবে দণ্ডায়মান থাকে। সাধারণত দুই থেকে চার মিটার লম্বা হয়। পাতা চার থেকে সাত মিটার পর্যন্ত লম্বা হয়। সচরাচর দুই ধরনের ফুল দেখা যায়। একটি সাদা ও অন্যটি কিছুটা লালচে বর্ণের। বসন্ত থেকে গ্রীষ্ম পর্যন্ত ফুলের সমারোহ থাকে। গ্রামের মেঠোপথের ধারে, পতিত জমির কাছে এর জন্ম। রূপের সঙ্গে এর রয়েছে ঔষধি ব্যবহারও। পাতার রস শিশুর জ্বর দূর করে বলে জানা যায়। এ ছাড়া এটা কৃমি, চুলকানিতেও উপকারী।

সদর, পাবনা