অন্তর্হিত আলো
ঐশ্বর্যে পূর্ণ ভারী কাঁধ ভেঙে পড়ে যায়
অপরাহ্নের মুগ্ধ আলোয়;
আশার ক্ষীণ রেখা ক্ষীণতর হয়ে মিলিয়ে যায় দিগন্তে।
কেটে যায় সুতা—
মায়াভরা জ্যোৎস্নার রাতে
অথবা সূর্য ওঠা নতুন প্রভাতে।
সহসা ধূসর দিগন্তে স্নিগ্ধতা ফিকে হয়ে গেলে
আমাকে আর খুঁজে পাবে না তুমি।
যদিও কুয়াশায় ভিজে কুমড়োর লতায় শিশির
কান্নার মতো টুপটাপ ঝরে—
আমি আর আসব না ফিরে।
বিষণ্ন পৃথিবীর ধুলো-মাটির পথে হাঁটব না আর,
অগ্রহায়ণের কুয়াশাভেজা মাঠে,
জল-জ্যোৎস্নার বিধৌত প্রান্তর—
নরম ঘাসের দেশ ভালোবেসে
আমি আর আসব না ফিরে।
ঐশ্বর্যহীন কবর; বন্য ফুলের কার্পেটমোড়া।
অদ্ভুত সন্ধ্যায় ঝোপে হারিয়ে যাব,
পৃথিবীর স্নিগ্ধ আলোয় অন্ধত্ব,
উচ্চ কলতানেও অদ্ভুত নিস্তব্ধতা কবরের মতো।
তাই পৃথিবীতে আমি আর আসব না ফিরে।