স্বামী-স্ত্রীর চেহারায় ভাই-বোনের মতো মিল থাকে কেন

তারকা দম্পতি সোফি হান্টার ও বেনেডিক্ট কাম্বারব্যাচ। স্বামী-স্ত্রী হলেও তাঁদের চেহারায় মিল রয়েছেছবি: এএফপি

দুই মেরুর দুজন মানুষ প্রথম দেখাতেই প্রেমে পড়ে গেল! তাদের মধ্যে বন্ধুত্ব হয়ে গেল। কী অদ্ভুত তাই না? অথচ তাদের কেউ কখনো একজন আরেকজনের মুখ দেখেনি, কথা হয়নি বা কল্পনাও করেনি। ঘটনাচক্রে একদিন তাদের দেখা হয়, সেই থেকেই শুরু তীব্র আকর্ষণ। শুরু হয় কথা বলা, একপর্যায়ে তীব্র মায়া জন্মে যায়। ধীরে ধীরে দুজনের মধ্যে তৈরি হয় তীব্র আকর্ষণ। তা থেকে অল্প সময়ে তাদের মধ্যে বন্ধুত্ব এমনকি প্রেম-ভালোবাসাও হয়ে যায়।

এসব মিরাকলের পেছনে রয়েছে দুজনের অদ্ভুত এক মিল। যাকে বিজ্ঞানের ভাষায় বলা হয় এমপ্যাথেটিক মিমিক্রি বা সহানুভূতিশীল অনুকরণ। সহানুভূতিশীল অনুকরণ হলো একধরনের মায়াবী মিল বা অবস্থা, যা প্রায়ই দুজন মানুষের কথা, আচরণ ও চিন্তা এমনকি শারীরিক গঠনও মিলে যায়। এ ধরনের অবস্থার ফলে দুজন মানুষের চাওয়া-পাওয়া, আবেগ-অনুভূতিগুলো প্রায় একই রকম হয়ে থাকে। তখন একজন আরেকজনের খুশিতে আত্মহারা হয়ে যায়! একজনের কষ্টে আরেকজনের চোখ ভিজে যায়! একজনের অসুস্থতায় অন্যজন ব্যাকুল হয়ে ওঠে! একজনের শক্তি-সাহসে আরেকজন অনুপ্রাণিত হয়ে ওঠে! এভাবেই গভীর ভালোবাসা আর তীব্র মায়া থেকেই মানুষ সঙ্গীর অনেক কিছুই অনুকরণ করতে শুরু করে। তখন ভালো লাগার মানুষটার মুখভঙ্গি এই অনুকরণের আওতায় চলে আসে।

এর ফলে ইতিপূর্বে দেখতে পুরোপুরি আলাদা হলেও বেশ কিছু সময় একসঙ্গে থাকার পর, চলাচলের পর চেহারায়ও অদ্ভুত একটা মিল চলে আসে। এ জন্যই কখনো লোকেরা দুজন বন্ধু বা বান্ধবীকে ভাই বা বোনের সঙ্গে মিলিয়ে ফেলে। এই এমপ্যাথেটিক মিমিক্রির কারণেই আবার অনেক সময় প্রেমিক-প্রেমিকা, স্বামী-স্ত্রীর চেহারায় ভাই-বোনের মতো মিল খুঁজে পাওয়া যায়।

মেহেন্দিগঞ্জ, বরিশাল