ফেলুদা
বাঙালিপুত্র বুদ্ধিদীপ্ত শখের গোয়েন্দা ফেলু
সত্যজিতের অমর সৃষ্টি ফেলুদার মগজাস্ত্র।
মগনলালের চোরা কারবারি, নকল ওষুধ চক্র
তোপসে, জটায়ু, ফেলু মিত্তির করেছে দিব্যি জব্দ।
বুদ্ধির তোড়ে খুলে গিয়েছিল সামাদ্দারের চাবি,
কৈলাস থেকে লেজ গুটিয়েছে মূর্তি পাচারকারী।
বাদশাহি আংটির জৌলুসে ইতিহাসের হলো সৃষ্টি,
ফেলু মিত্তির রক্ষা করেছিল রবার্টসনের রুবি।
সাধু সাবধান! নেপোলিয়নের চিঠি হতে যাচ্ছিল চুরি,
ফেলুদা এসেই জব্দ করেছে ভেকধারী সন্ন্যাসী।
সোনার কেল্লায় মুকুল আর রহস্য বালক নয়ন
বিপদে তাদের আগলে রেখেছে গোয়েন্দা ফেলুচাঁদ।
নোটবুক খুলে একা ঘরে বসে হিজিবিজি কেটে চলত,
শার্লক হোমস ফেলুদার কাছে গুরু বলে হতো মান্য।
জয় বাবা ফেলুনাথ, জয় বাবা ফেলুনাথ
জাহাঙ্গীরের স্বর্ণমুদ্রাচোর হলো কুপোকাত।
দার্জিলিং জমজমাট হলো ফেলুদার আগমনে,
শকুন্তলার কণ্ঠহার ফিরে এল আবার যথাস্থানে।
কচৌরি গলির রাবড়িতে হলো রসনার পরিতৃপ্তি,
সিধু জ্যাঠা দিয়ে চলেছেন ফেলুদার মনোবৃত্তি।
ভূস্বর্গ কাশ্মীরে, নেমে এল আতঙ্ক;
বাক্সবদল তদন্তভার ফেলুদার কাঁধে ন্যস্ত।
লন্ডন আর ব্যাংককে ছিল ফেলুদার পদচিহ্ন,
বুদ্ধির জোরে সমাধান হলো শেয়াল দেবতা রহস্য।
গোলাপি মুক্তা ঘুরিয়ে এনেছে দিল্লির আগ্রা,
ঘুরঘুটিয়ায় ধরা পড়ে গেছে লোভী পিতৃহন্তা।
গোরস্তানে ফেরত গিয়েছে গডউইনের রিপিটার,
কেদারনাথে জটায়ু পেলেন হারানো খুল্লতাত।
নিয়মিত যোগব্যায়ামের ফলে ফেলুদার দেহ পোক্ত,
গুপ্তধনের সূত্র মিলিয়ে জুটেছে অনেক ভক্ত।
গোলকধামে তুখোড় হয়েছে ফেলুর গোয়েন্দাগিরি,
পুলিশের হাতে ধরা পড়ে গেছে বহু হত্যাকারী।
প্রদোষ চন্দ্র মিত্র, পেয়ে তোমার সঙ্গ
ফেলুদা নামে খ্যাতি কুড়িয়েছে সত্যজিতের গল্প।