প্রতীক্ষার পর

মুক্তাঞ্চল পাটগ্রাম পরিদর্শনে প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ। অক্টোবর ১৯৭১ছবি: সংগৃহীত

স্বাধীন মত, স্বতন্ত্র পথ, নতুন শাসনতন্ত্র একটা সুস্পষ্ট
সার্ভে করা ‘মানচিত্র’ হাজার বছরের লালিত স্বপ্ন;
দুরুদুরু বুকের কাঁপুনি খাওয়া প্রকৃতি অবশেষে—উত্তরণ!
চারিদিকে রবির নিখুঁত আলোর বিচ্ছুরণে ওড়ে
নির্মল বাতাসে লাল–সবুজের পতাকা।
টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া,
পূর্ব দিগন্ত হতে পশ্চিম সীমানা,
সবটুকু জুড়ে সবুজ ঘাসে লাল খুন!
মায়ের স্নেহের নাড়িছেঁড়া ধনহারা!
বিধবার অঙ্গে জ্যোৎস্নার শাড়ি অতঃপর
নীলাম্বরে পাখনা মেলে মুক্ত বলাকা।
শ্যামল মাটিতে সমবেত জনতার উত্তাপ;
মিলনমেলার ধ্বনি, প্রকম্পিত স্বৈরাচারী মসনদ।
মার্চের অগ্নিঝরা কালে তপ্ত ধাত্রীর বুক! সময় পেরিয়ে
শীতল জল ঢালে ডিসেম্বর! আসে নতুন আশা-প্রতীক্ষার পর।
আমার অহংকার, হারানো হাজার আর্তনাদ!
লজ্জার দামে ফিরে আসে মাথার ছাদ,
থামে ভূমিকম্পের প্রলয় কম্পন,
পায়ের নিচে স্থির হয় সুন্দর সবুজ আশ্রয়;
একটি নাম স্বাধীন দেশ বাংলাদেশ।