ইগো, আপনার সবচেয়ে বড় শত্রু!

ইগো, মানুষকে সত্যিকার বড় হওয়ার পথে আগাতে বাধা দেয়, তাই সেটা দূর করে ফেলুন!ছবি: কবির হোসেন

ইগো (EGO) ইংরেজি শব্দ হলেও অহংকার, ঈর্ষা, হিংসা ইত্যাদি শব্দের সমার্থক হিসেবে ইগোকে তুলনা করা হয়েছে। আপনি ক্লাসে প্রথম হলেন, ব্যবসা কিংবা চাকরিতে তুলনামূলক বেশি সফলতা পেলেন, এতে যদি মনে বিন্দুমাত্র অহংকার, ঈর্ষা বা হিংসা জন্ম নেয়, তাহলে ধরে নেবেন আপনার ইগো সমস্যা আছে।

আপনার সম্ভাবনাময় জীবন ও ক্যারিয়ারকে পুরোপুরি শেষ করে দিতে পারে এই অহংকার। ইগো আসলে মানুষের মধ্যে বাস করা ছোট্ট শয়তানের মতো; যে একজন মানুষ আসলে যতটা বড়, তাকে তারচেয়েও অনেক বড় হিসেবে ভাবতে শেখায়।

একজন মানুষের মধ্যে যে প্রবল ইগো সমস্যা আছে, তা বুঝতে পারার একটি প্রধান লক্ষণ, তারা ভুল করেও ভুল স্বীকার করতে চায় না। অনেক সময় ভুল বুঝতে পারলেও তারা তা স্বীকার করে না। যার মধ্যে ইগো আছে, সে সত্যিকার বড় হওয়ার আগেই নিজেকে বড় ভাবতে শুরু করে। তার এই ভাবনা তাকে সত্যিকার বড় হওয়ার পথে আগাতে বাধা দেয়।

ইগো–সম্পন্ন মানুষেরা যতটুকু জানে, তার তুলনায় বেশি জ্ঞানী বলে নিজেদের জাহির করতে চায়। সোজা বাংলায় তারা সব সময় ‘দুই লাইন বেশি বোঝে’ টাইপের। একজন ইগো–সম্পন্ন মানুষকে আপনি কখনো যুক্তি দিয়ে বোঝাতে পারবেন না। মানে, তারা কখনো তর্কে হার মানবে না। তারা যদি বোঝেও যে তাদের তুলনায় তাদের সামনের মানুষটির কথা বেশি যুক্তিসংগত ও প্রমাণিত, তারপরও তারা মানবে না।

ইগোকে পাশ কাটিয়ে কীভাবে জীবনে সত্যিকার সফলতার দেখা পাওয়া যায়, তা বুঝতে ২০১৮ সাল থেকে প্রতিবছর ১১ মে ‘ইগো সচেতনতা দিবস’ পালিত হয়ে আসছে। কীভাবে নিজের ও অন্যদের সঙ্গে সম্পর্ককে পরিচালনা করতে হবে। ব্যর্থতার মুখে পড়লে কীভাবে ঠান্ডা মাথায়, মেজাজ ও ব্যক্তিত্ব না হারিয়ে সেই সমস্যা থেকে বের হয়ে আসা যায়, তার গুরুত্ব তুলে ধরা এই দিবসের মূল প্রতিপাদ্য। সর্বোপরি অহংকার ঝেড়ে ফেলে পারস্পরিক সৌহার্দ্য তৈরি করলেই এই ইগো থেকে বের হয়ে আসা সম্ভব।