মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই দেশব্যাপী কাজ করে যাচ্ছেন বন্ধুসভা জাতীয় পরিচালনা পর্ষদের উপদেষ্টা মনোরোগবিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডা. হেলাল উদ্দিন আহমেদ। এবার তিনি জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের চাইল্ড অ্যাডলসেন্ট অ্যান্ড ফ্যামিলি সাইকিয়াট্রি বিভাগের অধ্যাপক পদে পদোন্নতি পেয়েছেন। নতুন এই দায়িত্বের চ্যালেঞ্জ, ভবিষ্যৎ লক্ষ্য এবং প্রথম আলো বন্ধুসভার সঙ্গে যুক্ত থাকা নিয়ে একান্ত সাক্ষাৎকারে কথা বলেছেন তিনি।
নতুন দায়িত্বের চ্যালেঞ্জ নিয়ে ডা. হেলাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘অধ্যাপক পদটি যেমন একটি বড় পদ, তেমনই এটির দায়িত্ব ও চ্যালেঞ্জ অনেক। এই দায়িত্ব পাওয়ায় আমি যেমন আনন্দিত, পাশাপাশি এটি যেন সঠিকভাবে পালন করতে পারি, সেই চেষ্টা করে যাব।’
অধ্যাপক হিসেবে কোন কোন ক্ষেত্রে বেশি মনোযোগ দেওয়ার ইচ্ছা আছে, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে মানসিক স্বাস্থ্য, বিশেষ করে শিশু-কিশোরদের মানসিক স্বাস্থ্যের মান বৃদ্ধি করা যেমন আমার দায়িত্ব; পাশাপাশি জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটে আমাদের কর্মকৌশল আছে, সেই কর্মকৌশলকে বাস্তবায়ন করতে চাই। যে বিভাগে আমাকে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে, সেখানকার সেবার মান আরও উন্নত ও গতিশীল করাই হবে মূল লক্ষ্য।’
দায়িত্ব কেবল পাওয়াই বড় কথা নয়, সেই দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করার ক্ষেত্রে কিছু দায়বদ্ধতাও রয়েছে। এ বিষয়ে ডা. হেলাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘দায়বোধ আসলে বহুবিদ। প্রথমত, এটার কিছু নির্দিষ্ট দায়িত্ব আছে। শিক্ষার্থীদের পড়াতে হবে ও সাইকিয়াট্রিক তৈরি করতে হবে। পাশাপাশি সরকার যে দায়িত্ব দিয়েছে, সেই দায়িত্বে থেকে আমাদের দেশের শিশু-কিশোরদের মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি ও নতুন সাইকিয়াট্রিক তৈরিতে যে কর্মধারা, সেটি অব্যাহত রাখতে চাই।’
বন্ধুরা মানবিক হন, অন্যের বিপদে ঝাঁপিয়ে পড়েন এবং সবচেয়ে বড় কথা তাঁরা দেশকে ভালোবাসেন।
দীর্ঘদিন ধরে প্রথম আলো বন্ধুসভার সঙ্গে যুক্ত আছেন ডা. হেলাল উদ্দিন আহমেদ। জানালেন বন্ধুসভায় কাজ করার অভিজ্ঞতা পেশাগত জীবনকে অনেক সহজ করে দিয়েছে। ডা. হেলাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘বন্ধুসভায় কাজ করার সব সুফল হয়তো আমার মধ্যে আনতে পারিনি। তবে চেষ্টা করেছি কিছু কিছু বৈশিষ্ট্য যেমন দেশপ্রেম, নেতৃত্বের গুণাবলি, মানুষের জন্য কাজ করা, দলবদ্ধভাবে কাজ করা; এগুলো অধ্যাপনার কাজে অনেক বেশি কাজে লাগাতে পারব।’
বন্ধুসভার বন্ধুদের উদ্দেশে ডা. হেলাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘বন্ধুসভা যাঁরা করেন, তাঁরা নিজেদেরকে সুন্দরভাবে সংগঠিত করতে পারেন। তাঁদের মধ্যে নেতৃত্বের গুণাবলি তৈরি হয়, যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে পারেন। বন্ধুরা মানবিক হন, অন্যের বিপদে ঝাঁপিয়ে পড়েন এবং সবচেয়ে বড় কথা তাঁরা দেশকে ভালোবাসেন।’