যে একটি অভ্যাস আপনার দিনকে আনন্দময় করে তুলতে পারে

স্মার্টফোনের ব্যবহাররয়টার্স

একজন মানুষ দৈনন্দিন জীবনে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে কখন? জবাবে কেউ বলবে কাজের ফাঁকে, কেউ বলবে অবসর সময়ে কিংবা বন্ধুদের আড্ডায়। আরও একটা সময় আছে, যখন অধিকাংশ মানুষ একবার হলেও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম স্ক্রল করে; রাতে ঘুমানোর আগে এবং সকালে ঘুম ভাঙার পর। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই সময়ে ইন্টারনেট ব্যবহার আমাদের প্রাত্যহিক জীবনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।

ধরুন, সকালে ঘুম থেকে উঠেই সবার আগে আপনি ফোন হাতে নিলেন। ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম বা ই–মেইলে স্ক্রল করলেন। হয়তো গুরুত্বপূর্ণ কোনো তথ্য জানার জন্য স্ক্রল করা। পরে দেখা গেল প্রয়োজনীয় তথ্য জানলেন ঠিকই, তবে ফোন আর রাখা হয়নি। নিউজফিডে একের পর এক তথ্য স্ক্রল করেই যাচ্ছেন। কীভাবে যে অনেকটা সময় অপচয় হয়ে গেছে, বুঝতেই পারলেন না। এর মধ্যে কিছু খারাপ সংবাদও জানলেন।

ক্লাস বা অফিসের উদ্দেশে আপনার বের হওয়ার কথা ছিল সকাল আটটায়। মোবাইল ব্রাউজ করার কারণে সময় অপচয় হয়ে যায়। বাসা থেকে বের হতে হতে তখন সাড়ে আটটা বা অনেক সময় ৯টাও বেজে যায়। অন্যদিকে, নিউজফিডে যে খারাপ সংবাদগুলো জানলেন, সেগুলো মস্তিষ্কে প্রভাব ফেলে। মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায়। সারা দিন একধরনের অস্থিরতার মধ্যে সময় কাটে।

কর্মক্ষমতা বাড়ানো এবং দিনকে আনন্দদায়ক করে তোলার জন্য সকালে ঘুম থেকে উঠে ফোন হাতে না নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়াভিত্তিক মিডিয়া সাইকোলজি রিসার্চ সেন্টারের পরিচালক ডা. পামেলা রুটলেজ। সিএনএনকে তিনি বলেন, ‘সকালে ঘুম থেকে উঠে আমি মোবাইলের কোনো অ্যাপস ব্রাউজ করি না, যতক্ষণ না আমার পোষা প্রাণীর সঙ্গে সকালের হাঁটা শেষ না হয়। ঘুম ভাঙার পর বাস্তব জীবন সংশ্লিষ্ট কাজ করা সারা দিনের কর্মক্ষেত্রে বড় পার্থক্য গড়ে তোলে।’

সকালে ঘুম থেকে উঠে আরও অনেক কাজ করা যায়। যেমন শরীরচর্চা করা, নাশতা করা, নিজের বাসা বা রুম পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা; তারপর তৈরি হয়ে কাজের উদ্দেশে বের হওয়া। এই সময়ে ইন্টারনেট ব্রাউজ না করাটাই সবচেয়ে উত্তম। ডা. পামেলা রুটলেজ বলেন, ‘এই কাজগুলো করলে আপনি পজিটিভ চিন্তাভাবনা নিয়ে দিন শুরু করতে পারবেন, যা আপনার প্রাণোচ্ছলতা বৃদ্ধি করবে, কর্মক্ষমতা বাড়াবে এবং নতুন কিছু করার ইচ্ছাকে ত্বরান্বিত করবে। পাশাপাশি চারপাশের পরিবেশকে আনন্দময় করে তুলবে।’